অনশনে থাকা কাশ্মীরি বিচ্ছিনতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে ভরতি করা হল হাসপাতালে। রক্তচাপ ওঠা নামার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ইয়াসিন। এর জেরেই দিল্লির আরএমএল হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। এদিকে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর চিকিৎসকদের নাকি একটি চিঠি লিখে ইয়াসিন জানান, তিনি চান না তাঁর চিকিৎসা হোক। নিষিদ্ধ জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) প্রধান ইয়াসিন মালিক শুক্রবার সকাল থেকে তাঁর অনির্দিষ্টকালের অনশন শুরু করেন। এর আগে কেন্দ্র কাছে তাঁর আবেদন ছিল যে তাঁকে জম্মু আদালতে রুবাইয়া সইদ অপহরণ মামলার শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য শারীরিকভাবে হাজির হতে দেওয়া হোক। তবে ইয়াসিনের সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি কেন্দ্র। আর তার জেরেই অনশন শুরু ইয়াসিনের। উল্লেখ্য, রুবাইয়া অপহরণ মামলায় মূল অভিযুক্ত ইয়াসিন।
বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে তিহার জেলের ৭ নম্বর কারাগারের একটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সেলে নির্জনে রাখা হয়েছিল। তবে ইয়াসিন অসুস্থ হওয়ার পর তাঁকে কারাগারের মেডিক্যাল ইনভেস্টিগেশন ঘরে নিয়ে আসা হয়। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই রায়দানের কয়েকদিন পরই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদের মেয়ে রুবাইয়া নিজের অপহরণকারী হিসেবে ইয়াসিন মালিককে চিহ্নিত করেন।
এর আগে ১৯৮৯ সালে পাঁচ সন্ত্রাসীর মুক্তির বিনিময়ে রুবাইয়াকে মুক্তি দিয়েছিল অপহরণকারীরা। জম্মু ও কাশ্মীরে নব্বইয়ের দশকে সন্ত্রাস চরমে উঠেছিল। তখন বিজেপি ও বাম দলগুলির সমর্থনে কেন্দ্রে ভিপি সিংয়ের সরকার চলছিল। সেই সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন মুফতি মহম্মদ সইদ। তাঁর মেয়েকে কয়েকজন সন্ত্রাসী অপহরণ করেছিল সেই সময়। ১৯৮৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কন্যাকে অপহরণের খবর গোটা দেশের জন্য বড় ধাক্কা ছিল। এরপর ১৯৯০-এর দশকে এই মামলার তদন্ত সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ অগস্ট।