বিগত কয়েক বছরে ভারতীয় ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটারদের সংখ্যা এবং আয় দুটোই লাফিয়ে বেড়েছে। বাংলার বং গাই হোক কি হিন্দিতে ভুবন ভাম, কোটি কোটি ফলোয়ারের সঙ্গে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন সবাই। শুধু তাই নয়, এই ইউটিউব ইন্ডাস্ট্রির প্রসারের ফলে সাত লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে গত কয়েক বছরে। ভারতের জিডিপিতে ইউটিউবারদের অবদান ৬৮০০ কোটি টাকা।
এই বিষয়ে ইউটিউবের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার তথা গুগলের সিনিয়র ভআইস প্রেসিডেন্ট নীল মোহন এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘ক্রিয়েটারদের জন্য ভারতে অর্থনীতি সত্যিই সমৃদ্ধ হচ্ছে। প্রায় ৬৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা করছেন তাঁরা। এর ফলে ৭ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে দেশে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দর্শকদের আকৃষ্ট করার পাশাপাশি ইউটিউব এই নির্মাতাদের তাদের ব্যবসা গড়ে তোলার জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ দেবে।’
নীল মোহন বলেন, ‘ইউটিউব এমন একটি জায়গা যেখানে সব ধরনের ব্যবসা, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসার প্রসার ঘটছে। কারণ এই প্ল্যাটফর্মটি বিজ্ঞাপন চালিত মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।’ ইউটিউবের চিফ প্রোডাক্ট অফিসারের কথায়, ‘সৃজনশীল সাফল্যের পাশাপাশি লিঙ্গ বৈচিত্র্য তুলে ধরছে আমাদের প্ল্যাটফর্মটি। সমস্ত প্রধান ভারতীয় ভাষাগুলিকে উপস্থাপন করা হচ্ছে আমাদের প্ল্যাটফর্মে। আমাদের প্ল্যাটফর্মটি যাতে ক্রিয়েটর এবং উজারদের জন্য নিরাপদ থাকে এর জন্য আমরা পদক্ষেপ করে থাকি। এটিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বৈচিত্র্যময় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করাই আমাদের অগ্রাধিকার। ক্রিয়েটারদের অর্থনীতি ভারতের কয়েক কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে। তাই এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে কী ঘটবে তা নিয়ে সরকারের চিন্তা করা স্বাভাবিক। ইউটিউব এমন একটি জায়গা যেখানে লোকেরা নিজেদের নীতি, মতামত এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করতে আসে। এই আভহে ভুল তথ্য এবং সহিংসতা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট।’