ভারতের আইকনিক স্ট্রিট ফুডের তালিকা যদি বানানো হয়, তার মধ্যে লিট্টি-চোখার নাম অবশ্যই থাকবে। মুম্বইয়ের ভারশোভা সৈকতে সেই লিট্টি চোখারই দোকান যোগেশের। কিন্তু হালফিলের চটকদার ফাস্ট-ফুডের বাজারে সেভাবে হচ্ছিল না বিক্রি। তবে, এবার বোধহয় তার ভাবনা ঘুচল। যোগেশের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিল জোম্যাটো।
প্রিয়াংশু দ্বিবেদী নামে এক ব্যক্তি টুইটারে যোগেশ ও তাঁর মুখরোচর লিট্টি-চোখার ছবি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে যোগেশের পরিস্থিতি জানান প্রিয়াংশু। তিনি লেখেন, 'ইনি যোগেশ। শহরের সবচেয়ে ভাল লিট্টি-চোখা ওঁর দোকানেই পাবেন। এক প্লেটের দাম মাত্র ২০ টাকা। তাতেই পাবেন মাখনে ডোবানো ২টো লিট্টি, সুস্বাদু চোখা, চাটনি ও স্যালাড।'
প্রিয়াংশু জানান, বিক্রিবাটা সেরকম না হওয়ায় রোজকার খরচ চালাতেই যোগেশকে মুশকিলে পড়তে হচ্ছে।
এরপরেই আরও এক সমস্যার কথা তুলে ধরেন প্রিয়াংশু। তিনি বলেন, 'ব্যাবসাটা বাঁচাতে যোগেশ জোম্যাটোতে নিজের দোকান নথিভুক্ত করতে চেয়েছিল, কিন্তু হয়নি।'
গত ১৬ মার্চের এই টুইটে প্রায় ১,৬৬০টি লাইক পড়েছে। সঙ্গে অগুণতি কমেন্ট। আর সেই টুইটেই রিপ্লাই করে জোম্যাটো। জোম্যাটো কেয়ার-এর পক্ষ থেকে যোগেশকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। যোগেশের মোবাইল নম্বর চাওয়া হয়। যত দ্রুত সম্ভব তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জোম্যাটোয় নাম নথিভুক্ত করতে সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় অনেকের দিল্লির 'বাবা কা ধাবার' কথা মনে পড়ছে। একটা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট কীভাবে একটা ব্যবসাকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করতে পারে, তার প্রমাণ মিলল আরও একবার।