ব্যাট করতে নেমেই ছক্কা হাঁকাল জোম্যাটো। ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিংয়ে (আইপিও) ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের চাহিদা তুঙ্গে উঠল। প্রথমদিনের শেষে সংরক্ষিত শেয়ার সংখ্যার প্রায় ২.৮৫ গুণ বেশি সাবস্ক্রাইব করলেন খুচরো লগ্নিকারীরা।
স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, ৭১.৯২ কোটির আইপিওয়ের নিরিখে ৭৫.৬ কোটি ইক্যুইটি শেয়ারের বিড জমা পড়েছে। খুচরো লগ্নিকারীরাদের জন্য যেখানে ১২.৯৫ কোটি শেয়ার সংরক্ষিত ছিল, সেখানে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বিড জমা পড়েছে ৩৪.৮৮ কোটি শেয়ারের। সার্বিকভাবে প্রথমদিনে শেয়ারের ১.১১ গুণ বেশি বিড জমা পড়েছে। আপাতত জোম্যাটোর শেয়ার কেনার প্রক্রিয়া চলবে। আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত ৭২ টাকা থেকে ৭৬ টাকায় একটি শেয়ার কেনা যাবে। আইপিওয়ের মাধ্যমে আপাতত ৯,৩৭৫ কোটি টাকা বাজার থেকে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে জোম্যাটো।
এমনিতে এখনও পর্যন্ত লাভজনক সংস্থায় পরিণত হয়নি জোম্যাটো। কিন্তু ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ থেকে ক্রমাগত বেড়েছে সংস্থার বহর। গত অর্থবর্ষে (২০২০-২১) জোম্যাটোয় মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৩২.১ মিলিয়ন এবং মাসিক লেনদেনকারী ইউজারের সংখ্যা ছিল ৬.৮ মিলিয়ন। আপাতত দেশের ৫২৫ টি শহরে পরিষেবা প্রদান করে জোম্যাটো। ১৫০,০০০-এর মতো চালু রেস্তোরাঁ জোম্যাটের সঙ্গে যুক্ত আছে। গত অর্থবর্ষের শেষে সহযোগীj সংখ্যা ছিল প্রায় ১৭০,০০০।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জোম্যাটোর ভবিষ্যৎ যথেষ্ট উজ্জ্বল। কারণ অনলাইন খাবার ডেলিভারির জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। অনলাইনে খাবার ডেলিভারির বাজার আপাতত বিবর্তনের মুখেও দাঁড়িয়ে আছে। তাছাড়া অনলাইনে খাবার ডেলিভারির ক্ষেত্রে জোম্যাটোর একমাত্র লড়াই সুইগির বিরুদ্ধে। যে দুই সংস্থা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। জোম্যাটোর প্রথমবার শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে অ্যাক্সিস সিকিউরিটিজের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার জানিয়েছেন, আরও ভালো পরিষেবা এবং মজবুত অপারেটিং মডেলের ফলে মুনাফা আদায়ের পথ প্রশস্ত হবে। করোনাভাইরাস মহামারীর জেরে মানুষের মধ্যে অনলাইনে খাবার অর্ডার দেওয়ারও প্রবণতা বেড়েছে। তার ফলে চলতি অর্থবর্ষে (২০২১-২২) বেড়েছে জোম্যাটোর ব্যবহার। সেই পরিস্থিতিতে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে জোম্যাটোর আইপিও।