পাকিস্তানে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সপাটে থাপ্পড় খেল ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিদ সৈয়দের ছেলে তালহা। যেখানে লাখের বেশি ভোট পড়েছে, সেখানে জঙ্গির ছেলের জুটেছে মাত্র ২,০২৪টি। যা দেখে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, জঙ্গিদের খারিজ করে দিচ্ছেন পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ।
1/5 পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে গেল জঙ্গি হাফিজ সৈয়দের ছেলে তালহা। জাতীয় সংসদের ১২৭ নম্বর আসন থেকে (লাহোর) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল জঙ্গির ছেলে। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ইন-ইনসাফের (পিটিআই) প্রার্থী লতিফ খোসার বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছে। আর যে দল (পাকিস্তান মরকজি মুসলিম লিগ) টিকিটে তালহা লড়াই করেছিল, সেই দল তৈরি করেছে হাফিজ। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে রয়টার্স)
2/5 পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রার্থী লতিফ পেয়েছেন ১১৭,১০৯টি ভোট। পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ শরিফ) খাওয়াজা সাদ রশিদ ৭৭,৯০৭টি ভোট পেয়েছেন। আর তালহার কপালে জুটেছে ২,০২৪ ভোট। অর্থাৎ জয়ী প্রার্থীর থেকে ১১৫,০৮৫টি ভোট কম পেয়েছেন লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতার ছেলে। যা দেখে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, জঙ্গিদের খারিজ করে দিল জনতা। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)
3/5 ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বই হামলার মূলচক্রী ছিল হাফিজ সৈয়দ। রাষ্ট্রসংঘের জঙ্গিদের তালিকায় নামও আছে। যে জঙ্গিকে পাকিস্তান 'জামাই আদর' করে রেখে দেয় বলে অসংখ্যবার অভিযোগ উঠেছে। তবে আপাতত জেলে আছে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা। সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত জোগানো সংক্রান্ত একাধিক মামলায় ২০১৯ সাল থেকে জেলে আছে। তার মাথার দাম ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ধার্য করেছে আমেরিকা। (ছবি সৌজন্যে রয়টার্স)
4/5 তারইমধ্যে নিজের একটি আসন থেকে জিতেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ শরিফ) প্রার্থী নওয়াজ শরিফ। জাতীয় সংসদের ১৩০ নম্বর (লাহোর) আসন থেকে জিতে গিয়েছেন। সেই আসনে তিনি পিছিয়ে ছিলেন। তবে কোনও এক জাদুবলে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জিতে গিয়েছেন বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)