বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > DA Protest in Kazi Nazrul University: ডিএ ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, পালটা পদত্যাগ করে প্রতিবাদ ২২ অধ্যাপকের
DA Protest in Kazi Nazrul University: ডিএ ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, পালটা পদত্যাগ করে প্রতিবাদ ২২ অধ্যাপকের Updated: 18 Mar 2023, 03:04 PM IST Abhijit Chowdhury বিগত ১০ মার্চ বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটে অংশ নিয়েছিলেন সরকারি কর্মীদের একাংশে। এই আবহে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়েও বেশ কয়েকজন এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছিলেন। এই আবহে ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এর প্রতিবাদে এবার পালটা পদক্ষেপ করলেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জন অধ্যাপক। 1/5 ডিএ বা মহার্ঘভাতার দাবিতে ১০ মার্চ যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। আর ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এই ঘটনার পরেও শিক্ষকদের উপস্থিতি দেখিয়ে পুরো বেতন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল কাজী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার বিরুদ্ধে। আর তার জেরে তাঁকে বরখাস্ত করেছিলেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। 2/5 এদিকে অধ্যাপকেরা ধর্মঘটে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে উপাচার্য পদক্ষেপ করেছেন। এই আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কমিটি থেকে একসঙ্গে পদত্যাগ করলেন ২২ জন অধ্যাপক। এই পরিস্থিতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রেজিস্ট্রারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত নোটিস প্রত্যাহারের দাবি তোলা হয়েছে অধ্যাপকদের তরফে। 3/5 জানা গিয়েছে, যে কমিটিগুলি থেকে ২২ জন অধ্যাপক ইস্তফা দিয়েছেন সেগুলি হল - ক্যান্টিন, স্পোর্টস, মিউজিয়াম, এনএসএস ইত্যাদি। রেজিস্ট্রারকে সমর্থন জানিয়ে এবং উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমস্ত কমিটির আহ্বায়ক, আধিকারিক, সহকারী আধিকারিকরা নিজেদের পদ থেকে একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। 4/5 জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার চন্দন কোনার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু তাঁকে নিরাপত্তারক্ষীরা গেটেই আটকে দেন। এই ঘটনার পরে চন্দন কোনার শিক্ষক–শিক্ষিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখনই বিক্ষোভে সামিল হন শিক্ষক–শিক্ষিকারা। এদিকে চন্দনবাবুকে বরখাস্ত করতে উপাচার্য যে নির্দেশিকা জারি করেছেন, তা বেআইনি বলে দাবি করা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, উপাচার্য তিন মাসের এক্সটেনশনে রয়েছেন। তাই রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করার এক্তিয়ার তাঁর নেই। 5/5 এদিকে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বক্তব্য, 'গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২০–২১ এবং ১০ মার্চ রাজ্য সরকারি কর্মীদের কর্মবিরতি ছিল। ওই দিনগুলি নিয়ে বিশেষ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের পক্ষ থেকে। তাতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত কর্মীরা ওই দিনগুলিতে উপস্থিত থাকছেন না তাঁদের বেতন কিছুটা কাটা যাবে। কিন্তু সরকারি নির্দেশনামা লঙ্ঘন করে অনুপস্থিত সমস্ত কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার পুরো বেতন দিয়েছেন। তাই বরখাস্ত হয়েছেন।'