গতমাসে রেড রোডে ধরনামঞ্চ থেকে ডিএ আন্দোলনকারীদের 'চোর-ডাকাত' সম্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর প্রতিবাদে আগামিকাল, ৬ মার্চ একদিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই আবহে বৃহস্পতিবার ভোগান্তি পোহাতে হবে আম জনতাকে?
1/5 ৬ এপ্রিল একাধিক স্কুলে পরীক্ষা। এই আবহে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'কিছু-কিছু হাইস্কুলে এখন পরীক্ষা চলছে। সেইসব স্কুলের শিক্ষকদের আমরা বলেছি যাতে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তাঁরা কর্মবিরতিতে যান। নয়ত সেই স্কুলগুলিকে যেন কর্মবিরতির আওতার বাইরে রাখা হয়।'
2/5 ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'কর্মবিরতি পূর্বঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী পালন করা হবে। তবে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়বে না।' পাশাপাশি ডিএ আন্দোলনকারীদের আগামী কর্মসূচি নিয়েও সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন ভাস্করবাবু। তিনি বলেন, 'আগামী ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তর-মন্তরে অবস্থান ধরনা হবে। তার পর দেশের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের স্মারকলিপিও দেওয়া হবে।'
3/5 ভাস্কর ঘোষ আরও বলেন, 'আমরা ঠিক করেছি, সবাই আলাদা আলাদা করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাব আর দাবি করব, আমাদের সবার চাকরির তদন্ত করা হোক। তখন আমরা দেখাব, কেমন করে চাকরি পেয়েছি।' উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে বসা সরকারি কর্মীরা বাম জমানায় চিরকুটে চাকরি পেয়েছিলেন।
4/5 প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো বলেছিলেন, ‘প্রতিদিন আপনারা এখানে গিয়ে এই চাই, ওখানে গিয়ে ওই চাই করেন। চোর-ডাকাতগুলো। যে চোর-ডাকাতগুলো চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল। সব গিয়ে বসে আছে ওখানে, ডিএ-র ওখানে। তাঁদের কাছে আমায় জ্ঞান শুনতে হবে? জ্ঞানদাতারা, চোরেরা, ডাকাতরা, ডাকাত সর্দাররা।’
5/5 এরপর ৩০ মার্চও সরকারি কর্মীদের আক্রমণ শানান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যাঁরা গণশক্তিতে কাজ করেন তাঁদের প্রত্যেকের স্ত্রী শিক্ষিকা। সব চিরকুটের চাকরি। জনগণের টাকা নিয়ে পেনডাউন করবেন? যারা পেনডাউন করেছেন তারা চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন। সব ফাইল খুঁজে বের করতে বলেছি। টাকা নিচ্ছে। পেনশন নিচ্ছে। আরও চাই।'