আগামী ৬ মে শহিদ মিনারের অবস্থান বিক্ষোভের ১০০তম দিন। সেদিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে কলকাতায় বিশাল মিছিলের আয়োজন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি মমতার বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে এবার এক ডিএ আন্দোলনকারীরে বদলি করা হল প্রত্যন্ত এলাকায়। যা নিয়ে সরব মঞ্চ।
1/5 যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের অভিযোগ, ডিএ আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় ৫৮০ জন সরকারি শিক্ষককে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। এই আবহে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাঁদের চাপে রাখতে এবং একতায় চিড় ধরাতেই এহেন পদক্ষেপ। এদিকে সরকারের দাবি, যে কোনও স্তরের কর্মীকে বদলি করতে পারে সরকার। সার্ভিস রুল অনুযায়ী বদলি হয়েছে।
2/5 জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, সুন্দরবনে বদলি করা হয়েছে শতাধিক শিক্ষককে। এছাড়া নবান্নর ৬ জন সরকারি কর্মীকে কম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বদলি করা হয়েছে। এই আবহে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অভিযোগ, ৬ মে-এর কর্মসূচির আগে আন্দোলনকারীদের মনোবলে আঘাত হানতে চাইছে সরকার। আর তাই এভাবে কর্মীদের বদলে করা হচ্ছে।
3/5 এদিকে আগামী ৬ মে মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা। হাজরা মোড়ে সেই সভা হবে বলে ঘোষণা করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই সভার জন্য অবশ্য পুলিশ অনুমতি দেবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
4/5 এই নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য, হাজরা মোড়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য সংগঠন সভা-সমাবেশ করে থাকেন। এই আবহে পুলিশ ডিএ আন্দোলনকারীদের সভার অনুমতি না দিলে মঞ্চের তরফে আদালতে মামলা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মঞ্চের নেতারা। তাঁরা আরও জানান, এই সভা ডিএ-র পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে স্বচ্ছ এবং স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে হবে।
5/5 অপরদিকে বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে আগামী ৪ মে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। সেই অভিযানে শামিল হতে হতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরাও। কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, মে মাসের ৪ তারিখ দুপুর আড়াইটে নাগাদ নবান্ন অভিযান শুরু হবে সরকারি কর্মীদের। উল্লেখ্য, এর আগে ডিএ ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল ডিএ আন্দোলনকারীদের। তবে তাতে কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি।