কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের তুলনায় এই রাজ্যের ডিএ-র হার অনেকটা কম। সম্প্রতি তাও ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাতেও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফোটেনি। তবে ভোট মিটতেই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মুখের হাসি চওড়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
1/5 রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে, সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করে যাতে বেতন বৃদ্ধি করা হয়। সেই মতো সম্প্রতি জমা পড়েছে বেতন কমিশনের রিপোর্ট। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে রিপোর্ট বাস্তবায়নের বিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই আবহে এই রাজ্যে সপ্তম বেতন কমিশন বাস্তবায়িত হলে সরকারি কর্মচারীরা কতটা লাভবান হবেন?
2/5 এই রাজ্যে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হলে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের মূল বেতন ২৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। এরই সাথে তাদের ন্যূনতম মজুরি ১৭ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ হাজার টাকা করা হতে পারে। উল্লেখ্য, কর্ণাটকে দীর্ঘদিন ধরে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করার দাবি জানানো হচ্ছে। সেই মতো রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য সচিব কে সুধাকর রাও-এর নেতৃত্বাধীন কমিশন গত ১৫ মার্চ তাদের রিপোর্ট জমা দেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। লোকসভার আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার আগে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।
3/5 যদি এই রিপোর্ট কার্যকর করে মূল বেতন ২৭.৫% বৃদ্ধি করা হয়, তাহলে ন্যূনতম বেতন এক লাফে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি বাড়বে। যাদের মূল বেসিক বেতন ২০৯০০ টাকা ছিল, তাদের মূল বেতন বেড়ে ৩৩৩০০ টাকা হতে পারে। আর যাদের মূল বেতন ৪০৯০০ টাকা ছিল, তাদের মূল বেতন বেড়ে ৬৫৯৫০ টাকা হতে পারে। আর যদের বেসিক বেতন ৫০১৫০ টাকা আছে, তাদের মূল বেতন বেড়ে ৭৯৯০০ টাকা হতে পারে।
4/5 এদিকে যে এখন, সিনিয়র স্তরের কর্মচারীদের প্রাথমিক ন্যূনতম বেতন ১ লাখ ৪ হাজার ৬০০ টাকা, তা সংশোধন করে ১ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ টাকা করা হতে পারে। এর পাশাপাশি ডিএ এবং আইআর-ও আরও বাড়বে সব স্তরের সরকারি কর্মচারীদেরই। এদিকে এই রিপোর্টটি ২০২২ সালের জুন মাস থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। তার ফলে যখনই এই রিপোর্ট কার্যকর করা হবে, তখন বকেয়াও দেওয়া হবে কর্মীদের।
5/5 এদিকে সপ্তম বেতন কমিশনের রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে যে ৭০ থেকে ৮০ বছর বয়সি পেনশনভোগীদের মূল পেনশন অতিরিক্ত ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা উচিত। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন যে অর্থ বিভাগের পরামর্শের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট কার্যকর করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই রিপোর্টটি বাস্তবায়নের করা হলে এই বছর সরকারের জন্য অতিরিক্ত ১৭ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।