বায়ু দূষণের ফলে গড়ে ভারতের মানুষের আয়ু কমেছে ৫.২ বছর। এর মধ্যেেও সবচেয়ে দূষিত রাজ্যগুলির মধ্যে আছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে গড়ে মানুষ ৭.১ বছর আগে মারা যাচ্ছেন বায়ু দূষণের ফলে। রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় মানুষের আয়ু কমছে আট বছর দূষিত বাতাসের ফলে। খুব পিছিয়ে নেই দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা।
গত কুড়ি বছরের বায়ুতে ভাসমান পার্টিকিউলেট ম্যাটারের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই রিপোর্ট পেশ করেছে Energy Policy Institute at the University of Chicago.সারা বিশ্বের মধ্যে বায়ু দূষণে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত। একে আছে বাংলাদেশ। তিন, চার ও পাঁচ স্থানে যথাক্রমে নেপাল, সিঙ্গাপুর ও পাকিস্তান।
গবেষকরা একটি বিশেষ সূচক তৈরী করেছেন air quality life index (AQLI), যেটা এই হিসেব করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বলা মাপকাঠির মধ্যে যদি এই দেশগুলি থাকত, তাহলে সেখানকার মানুষ কতদিন বেশি জীবিত থাকতেন। এই সংখ্যাটি যত বেশি হবে, সেখানকার হাওয়া ততই দূষিত।
1/4 প্রসঙ্গত কুড়ি বছর আগে প্রায় ভারতের মতো দূষিত ছিল চিন। ধীরে ধীরে সেটি কমেছে ও বিশেষত ২০১৩ সালের পর PM 2.5 এর পরিমাণ কমেছে ৪০ শতাংশ। একই সময় ভারতের বাতাসে ধুলিকণা PM 2.5 এর পরিমাণ বেড়েছে ৪২ শতাংশ। ২০১৮-র তথ্য অনুযায়ী দেশের সবচেয়ে দূষিত জেলা উত্তরপ্রদেশের লখনউ। এখানে PM 2.5 প্রায় ১১৪.৬ এমজি প্রতি কিউবিক মিটারে। হু-এর ১০ এমজির সীমা মানলে লখনউবাসী গড়ে ১০.৩ বছর বেশি জীবিত থাকবেন। দেশের মধ্যে প্রথম ১৪টি দূষিত জেলা উত্তরপ্রদেশে। ১৫তম জেলা হল দিল্লি, দূষণের মাপকাঠি অনুযায়ী। দিল্লিতে মানুষের গড় আয়ু কমছে ৯.৪ বছর। এই সূচকের স্রষ্টা মাইকেল গ্রিনস্টোন বলেন যে যতটা করোনা নিয়ে মানুষ চিন্তিত, বায়ু দূষণ নিয়েও সেভাবে উদ্বিগ্ন উচিত। সারা বিশ্বে বায়ু দূষণের ফলে গড় আয়ু দুই বছর করে কমেছে। যেসব জায়গায় দূষণ বেশি, সেখানে করোনার প্রকোপও অনেক বেশি হয়েছে বলে গবেষকরা দেখেছেন। এই ট্রেন্ডটি সবচেয়ে বেশি ফুটে উঠেছে একদা করোনা হাব ইতালিতে।