বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Amit Shah's Electoral Bond Calculation: ৩০৩ সাংসদরা পেয়েছে ৬০০০ কোটি, বাকি ২৪২-এর পকেটে ১৪০০০ কোটি, 'বন্ড অঙ্ক' শাহের
Amit Shah's Electoral Bond Calculation: ৩০৩ সাংসদরা পেয়েছে ৬০০০ কোটি, বাকি ২৪২-এর পকেটে ১৪০০০ কোটি, 'বন্ড অঙ্ক' শাহের Updated: 16 Mar 2024, 09:03 AM IST Abhijit Chowdhury সম্প্রতি সুপ্রিম নির্দেশিকায় সামনে এসেছে ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য। কোন সংস্থা কত টাকার বন্ড কিনেছে, কোন দল কত টাকা পেয়েছে, সেই সব হিসেব প্রকাশিত হয়েছে। এরপরই বন্ড নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। এবার সেই অভিযোগের জবাব দিলেন শাহ। 1/5 অমিত শাহ বলেন, 'ইলেক্টোরাল বন্ড ভারতীয় রাজনীতি থেকে কালো ধন হটানোর লক্ষ্যে আনা হয়েছে। আমাকে কেউ এটা বলুক, ইলেক্টোরাল বন্ডের আগে কীভাবে রাজনৈতিক দলগুলি চাঁদা পেত? বন্ডে কীভাবে টাকা আসে? সংশ্লিষ্ট সংস্থা নিজের চেক ব্যাঙ্ককে দিয়ে একটি বন্ড কেনে এবং নিজের পছন্দের রাজনৈতিক দলকে দিয়ে থাকে। এখানে গোপনীয়তার প্রশ্ন উঠছে। আর যখন নগদে চাঁদা আসত, তখন কী হত? সেই সময় কারও নাম প্রকাশ্যে এসেছে?' 2/5 এরপর বন্ড নিয়ে রাজনৈতিক আক্রমণের জবাবে শাহ বলেন, 'একটা ধারণা তৈরি করা হচ্ছে যে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে ভারতীয় জনতা পার্টির অনেক লাভ হয়েছে। কারণ বিজেপি ক্ষমতায় আছে... রাহুল গান্ধী তো অভিযোগ করেছেন যে এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতির মাধ্যম এই ইলেক্টোরাল বন্ড। জানি না, কে রাহুল গান্ধীকে এই ধরনের কথা লিখে দেয় এবং তা তিনি বলেন।' 3/5 এরপর অঙ্ক কষে শাহ বলেন, 'বিজেপি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড পেয়েছে। সব মিলিয়ে ২০ হাজার কোটির বন্ড বিক্রি হয়েছে। তাহলে ১৪ হাজার কোটি টাকার বন্ড কোথায় গেল? তৃণমূল ১৬০০ কোটির বন্ড পেয়েছে, কংগ্রেস ১৪০০ কোটির বনড পেয়েছে, বিআরএস ১২০০ কোটির বন্ড পেয়েছে, বিজেডি ৭৭৫ কোটির বন্ড পেয়েছে আর ডিএমকে ৬৩৯ কোটির বন্ড পেয়েছে।' 4/5 এই আবহে শাহের যুক্তি, '১৩ রাজ্যে আমরা ক্ষমতায়, লোকসভায় আমাদের ৩০৩ সাংসদ, আমাদের সদস্য সংখ্যা ১১ কোটি। সেই অনুপাতে দেখতে গেলে যদি তৃণমূল যদি আমাদের মতো বড় দল হত, তাহলে তারা যুক্তির খাতিরে ২০ হাজার কোটির বন্ড পেত, বিআরএস পেত ৪০ হাজার কোটির বন্ড আর কংগ্রেস পেত ৯ হাজার কোটির বন্ড। আমার বক্তব্য, ৩০৩ সাংসদের দল হয়ে আমরা ৬০০০ কোটির বন্ড পেয়েছি, আর বাকি ২৪২ সাংসদের দলগুলি পেয়েছে ১৪০০০ কোটির বন্ড।' 5/5 এরপর বিরোধীদের উদ্দেশে শাহের বক্তব্য, 'যখন যাবতীয় হিসেব সামনে আসবে, তখন তাঁরাই মুখ লুকোনোর জায়গা খুঁজে পাবে না। স্বাধীনতার পর থেকে কোটি কোটি টাকার চাঁদা তোলা হয়েছে। ১২ লাখ কোটির দুর্নীতি করেছে। জেলে যাচ্ছে। আর আমাদের থেকে হিসেব চাইছে? আমরা তো কালো টাকা শেষ করতে বন্ড এনেছিলাম। বন্ড আসর আগে নির্বাচনী খরচা কোথা থেকে আসত? তাহলে কি সেটা কালো ধন ছিল নাকি তার কোনও হিসেব ছিল?'