বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > AI to hit 40% jobs: বৈষম্য বাড়াবে AI, চাকরিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ৪০ শতাংশ মানুষের, সতর্ক করল IMF
AI to hit 40% jobs: বৈষম্য বাড়াবে AI, চাকরিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ৪০ শতাংশ মানুষের, সতর্ক করল IMF Updated: 15 Jan 2024, 04:14 PM IST Ayan Das বিশ্বে বৈষম্য বাড়াতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। কারণ তা চাকরিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সতর্ক করল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (আইএমএফ)। একটি গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষের চাকরির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এআই। 1/6 বিশ্বের ৪০ শতাংশ চাকরির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)। এমনই দাবি করল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (আইএমএফ)। বিশ্বের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, উন্নয়নশীল এবং নিম্ন আয়-বিশিষ্ট দেশগুলির থেকে উন্নত দেশগুলির ক্ষেত্রে ভয়টা আরও বেশি। কারণ ওই উন্নত দেশগুলিতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রভাব বেশি। সেখানে বেশি পরিমাণে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হয় না। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স) 2/6 বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে ওই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, কয়েকটি চাকরি পুরোপুরি খেয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। তবে সেটার সম্ভাবনা খুব একটা বেশি নয়। বরং মানুষ যে কাজ করছেন, সেটার অনুসারী হয়ে উঠবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর সেক্ষেত্রে উন্নত অর্থনীতির ৬০ শতাংশ চাকরির ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব পড়বে। যা উন্নয়নশীল এবং নিম্ন আয়-বিশিষ্ট দেশের থেকে বেশি (২৬ শতাংশ)। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএফপি) 3/6 আইএমএফের যে গবেষণা সামনে এসেছে, সেটার সঙ্গে ২০২৩ সালের একটি সমীক্ষার মিল আছে। গোল্ডম্যান স্যাকসের সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল যে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ফুলটাইম চাকরির পরিবর্ত হিসেবে কাজ করতে পারবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সেইসঙ্গে নয়া কর্মসংস্থানেরও সুযোগ তৈরি করবে। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে বলে ওই সমীক্ষায় জানানো হয়েছিল। যে বিষয়টি আইএমএফের গবেণায় উঠে এসেছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স) 4/6 আইএমএফের বিশ্বাস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফলে উচ্চ আয়-বিশিষ্ট এবং তুলনামূলক কমবয়সি কর্মীদের বেতন লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়তে পারে। আর সেখানে কম আয়-বিশিষ্ট এবং তুলনামূলকভাবে বয়স্ক কর্মীরা পিছিয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে আইএমএফ। অর্থাৎ বিশ্বে বৈষম্য বাড়বে। সেটা নিয়েই সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএফপি) 5/6 সেই প্রসঙ্গে একটি ব্লগ পোস্টে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টিলিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে যে বৈষম্য আছে, সেটা আরও বাড়িয়ে দেবে (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)। এটি একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা, যে বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে (বিভিন্ন দেশের) নীতি নির্ধারকদের, যাতে প্রযুক্তি আরও সামজিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে না পারে।’ (ছবি সৌজন্যে এএফপি) 6/6 তিনি আরও জানিয়েছেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব বিবেচনা করে ঝুঁকির মুখে থাকা কর্মচারীদের সামাজিক সুরক্ষা 'জাল'-র অধীনে রাখতে হবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারকে। নতুন করে তাঁদের প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করারও পরামর্শ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তাঁর মতে, সেই কাজটা করলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সার্বিক করে তোলা যাবে। বাঁচানো যাবে চাকরি। কমানো যাবে বৈষম্য। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)