বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Chief Minister on CAA and NRC: 'দেড় কোটি নয়, ৩-৬ লাখ আবেদন করবেন CAA-তে', দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর, অভিযোগ NRC নিয়ে
Chief Minister on CAA and NRC: 'দেড় কোটি নয়, ৩-৬ লাখ আবেদন করবেন CAA-তে', দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর, অভিযোগ NRC নিয়ে Updated: 19 Mar 2024, 09:34 AM IST Abhijit Chowdhury দেশ জুড়ে কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিধি। ২০১৯ সালে এই আইন আসার পরে প্রায় ৪ বছর ৩ মাস লাগে এর নিয়ম বিধি তৈরি করতে। তবে এখন সিএএ এসেছে। অবশ্য এর নিয়ম বিধি দেখে অনেকের মনেই সংশয় দেখা দিয়েছে। এরই মাঝে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বড় দাবি করলেন। 1/5 বাংলার পড়শি রাজ্য অসমে এআনরসি হয়েছিল কয়েক বছর আগে। তাতে নাম কাটা পড়েছিল লাখ লাখ মানুষের। তার মধ্যে বেশ কয়েক লাখ মানুষ আবার বাঙালি হিন্দু। এই আবহে সিএএ চালু হওয়ায় এই সব বাঙালি হিন্দুরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন বলে দাবি করেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। 2/5 প্রসঙ্গত, সিএএ কার্যকর হওয়ার পর থেকেই অসমে এর বিরোধিতা হচ্ছে। ২০১৯ সালে অসমে আগুন জ্বলেছল। আর এবারও ফের একবার সেখানে সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। কারণ অসমে এনআরসি-র 'কাট-অফ' তারিখ ছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। আর সিএএ-তে কাটঅফ তারিখ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এই আবহে অসমীয়ারা সিএএ-র বিরোধিতা করছে। 3/5 এই সবের মাঝেই হিমন্ত দাবি করলেন, তাঁর মনে হয়, সিএএ-র আওতায় সেই রাজ্যের ৩ থেকে ৬ লাখ বাঙালি হিন্দু নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। তিনি বলেন, 'আমার দেওয়া সংখ্যা ১০ শতাংশ এদিক-সেদিক হতে পারে। তব সিএএ বিরোধীরা যে দাবি করছে ২০ লাখ থেকে দেড় কোটি মানুষ এতে আবেদন করতে পারেন তা কোনও ভাবেই সত্যি নয়।' 4/5 এর আগে ২০১৯ সালে অসমে এনআরসি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে দেখা যায় ৩.৪ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে ১৯ লাখ লোকের নাম বাদ পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশি শরণার্থী হিন্দু বলে দাবি করেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। হিমন্ত বলেন, 'অনেক হিন্দু বাঙালি ১৯৭২ এবং ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের অসনে এসেছিল। অনেক বাঙালি হিন্দু আবার বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে তাদের ফের অসমে ফিরতে হয়।' 5/5 এই সব শরণার্থীদের নিয়ে হিমন্ত বলেন, 'সেই সময় এই সকল শরণার্থীদের কোনও সার্টিফিকেট দেয়নি তৎকালীন সরকার। তারা যখন এনআরসি-তে আবেদন করেন, তখন তাঁদের কাছে শরণার্থী শিবিরের একটি সিল মারা কাগজ ছাড়া আর কিছুই ছিল না। তবে প্রাক্তন এনআরসি কোঅর্ডিনেটর সেই সব আবেদন গ্রহণ করেননি। তাই এত বাঙালি হিন্দুর নাম এনআরসি থেকে বাদ পড়ে। এই আবহে এনআরসি থেকে বাদ পড়া সেই সব মানুষ সিএএ-তে আবেদন করবেন বলে আমি মনে করি। তবে তাছাড়া বাইরে থেকে কেউ সিএএ-তে আবেদন করবেন না। আর এনআরসি-তে বাঙালি ছাড়াও ২ লাখ অসমীয়া, কোচ-রাজবংসী, দেড় লাখ গোর্খাকেও বাদ দেওয়া হয়েছিল তখন।'