কঙ্গনা রানাওয়াত বরাবরই বিজেপি সরকার বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমর্থনে নানা কথা বলেছেন। তবে এই প্রথমবার তিনি রাজনীতির ময়দানে পা রাখলেন। পদ্ম শিবিরের হয়েই হিমাচলের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই করছেন। আর রাজনীতিতে পা দিয়েই নানা সময় তিনি নান বিষয়ে চাঁচাছোলা মন্তব্য করেছেন। এবার কথা বললেন মোদীর প্রতিশ্রুত সেই ১৫ লাখ টাকা নিয়ে।
১৫ লাখ টাকা নিয়ে কী বললেন কঙ্গনা?
সকলেই জানেন মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে ভারতীয় নাগরিকদের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা করে দেবেন তিনি। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর কয়েক বছর কেটে গেলেও সেটা পূরণ হয়নি। কিন্তু কেন? এবার সেই বিষয়েই মুখ খুললেন কঙ্গনা।
কঙ্গনা রানাওয়াত এদিন তাঁর একটি বক্তব্যে জানিয়েছেন কংগ্রেসের জন্যই নাকি সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। মান্ডির বিজেপি প্রার্থী এদিন তাঁর একটি বক্তব্যে বলেন, 'লাখপতি দিদি বানাচ্ছে। মহিলাদের লাখ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই যোজনার সুবিধা আপনারা তখনই পাবেন যখন কংগ্রেস সব কিছুতে ব্যাগড়া দেওয়া বন্ধ করবে। সব জায়গায় নাক গলানো ওদের স্বভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছে।'
কঙ্গনা রানাওয়াতের এই কথা শুনে হেসে খুন নেটিজেনরা। এক ব্যক্তি লেখেন, 'বাহ দিদি বাহ। আপনার তো দারুণ বুদ্ধি!' আরেকজন লেখেন, 'ঠিকই তো সব দোষ কংগ্রেসের। ওরা মাঝে না এলে সবাই ১৫ লাখ করে পেয়ে যেত এতদিনে।'
কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদাকে নিয়ে কী বলেছেন কঙ্গনা?
দ্য স্টেটম্যানকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের স্যাম পিত্রোদা ভারতীয়দের চেহারা নিয়ে বলেন, 'আমরা বিশ্বে গণতন্ত্রের উজ্জ্বল উদাহরণ। বিভিন্ন চেহারার মানুষ ভারতে মিলেমিশে বসবাস করে। আমরা ৭০-৭৫ বছর ধরে দেশে আছি। আনন্দ সহকারে এখানে একসঙ্গে বসবাস করি আমরা। কয়েকটি লড়াই বাদ দিয়ে লোকেরা একসঙ্গে থাকতে পারে। আমরা দেশকে একত্রে ধরে রাখতে পেরেছি। ভারতের মতো বৈচিত্র্যময় দেশ - যেখানে পূর্বাঞ্চলের লোকেদের চিনাদের মতো, পশ্চিমের লোকেদের আরবিদের মতো, উত্তরের লোকেদের শ্বেতাঙ্গদের মতো এবং দক্ষিণের লোকেদের আফ্রিকানদের মতো দেখতে। এটা কোনও ব্যাপার নয়। আমরা সবাই ভাই-বোন।'
কঙ্গনা রানাওয়াত তথা এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মান্ডির প্রার্থী কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদাকে তুলোধোনা করে বলেন, 'কংগ্রেস কাকু স্যাম বলেছেন দক্ষিণ ভারতীয়দের আফ্রিকান, পূর্ব ভারতীয়দের চিনা, গুজরাটের লোকজনদের আরবিদের মতো দেখতে। এটা শুনে আমি ভাবছি উনি ভারতের কোন অংশের মানুষ কারণ ওঁকে তো মানুষ কম পাখির মতো দেখতে লাগে বেশি।'