২০৭০ সালের মধ্যে ভারত 'নেট জিরো' অর্জনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ, কার্বম নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনতে চায়। তবে এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সবথেকে বড় বাধা হল জ্বালানি চালিত যানবাহন। এই আবহে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বড় শহরগুলি থেকে ডিজেল গাড়ি পুরোপুরি বাতিলের সুপারিশ করল সরকারি প্যানেল।
1/5জানা গিয়েছে, জ্বালানি বিষয়ক প্যানেল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে যে ২০২৭ সালের মধ্যে ডিজেল চালিত সব চার চাকা নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত দেশের বড় ও মাঝারি শহরগুলিতে। এর বদলে বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক গ্যাস চালিত গাড়ির কেনার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করা উচিত।
2/5উল্লেখ্য, বিশ্বে যেসকল দেশের থেকে সবচেয়ে বেশি গ্রিন হাউজ গ্যাসের নিঃসরণ ঘটে, ভারত সেই দেশগুলির তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে। এই আবহে ২০৭০ সালের মধ্যে যদি ভারতকে 'নেট জিরো' লক্ষ্যে পৌঁছতে হয়, তাহলে অনেক বড় বড় বদল আনতে হবে। এই আবহে প্যানেলের সুপারিশ, ২০২৪ সাল থেকেই শহরে এমন নতুন কোনও বাস নামানো যাবে না যেগুলি ডিজেল চালিত। এদিকে ২০৩০ থেকে নতুন বাস নামানোর ক্ষেত্রে সেগুলি বিদ্যুৎ চালিত হওয়া বাধ্যতামূলক হতে হবে।
3/5উল্লেখ্য, জ্বালানি মন্ত্রকের অধীনে থাকা 'এনার্জি ট্রানজিশন অ্যাডভাইসারি কমিটি'র তরফে ডিজেল গাড়ি সংক্রান্ত এই সব সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এটা স্পষ্ট নয় যে জ্বালানি মন্ত্রক এই সুপারিশগুলিকে বাস্তবায়নের জন্য ক্যাবিনেটের অনুমোদন নেবে, নাকি নিজেরেই তা বাস্তবায়ন করবে। এই কমিটির প্রধান হলেন প্রাক্তন জ্বালানি সচিব তরুণ কুমার। ভারতে কীভাবে পেট্রোলিয়ামের বদলে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা যায়, সেই সংক্রান্ত রূপরেখা তৈরি করতেই এই কমিটির গঠন করা হয়েছিল।
4/5উল্লেখ্য, ভারতের মোট পরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্যবহারের ৪০ শতাংশই ডিজেল। আর এর মধ্যে ৮০ শতাংশই ব্যবহার করা হয় পরিবহণ খাতে। এই পরিস্থিতিতে ডিজেল চালিত চার চাকার গাড়ি নিষিদ্ধ করা হলে ডিজেল ব্যবহার এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে। প্রসঙ্গত, পেট্রোল গাড়ি থেকে ডিজেল গাড়ির দাম কিছুটা কম হয় বলে অনেক মধ্যবিত্তই চার চাকা কেনার সময় ডিজেল ইঞ্জিনের গাড়িই বেছে নেন। এই আবহে এই সব গাড়ির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলে তাদের মাথায় হাত পড়তে পারে।
5/5এদিকে প্যানেলের সুপারিশ, দীর্ঘ মেয়াদে দূরপাল্লার বাসগুলিকে বিদ্যুৎ চালিত করতে হবে। তবে আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাসরে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে দূরপাল্লার বাসের জন্য। প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশের মোট জ্বালানি ব্যবহারের ৬.২ শতাংশ হল প্রাকৃতিক গ্যাস। আগামী কয়েক বছরেই সেই হার ১৫ শতাংশে নিয়ে যেতে চায় সরকার।