ব্রাহ্মণ সন্তান হলেও চারিত্রিক বৈশিষ্টে পরশুরাম ছিলেন ক্ষত্রিয়। পিতা জমদগ্নির হত্যার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক ২১ বার পৃথিবীর সমস্ত ক্ষত্রিয়কে হত্যা করেছিলেন তিনি।
1/4রামায়নের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র হলেন পরশুরাম। মহর্ষি জমদগ্নি ও রেণুকার ৫ সন্তানের কণিষ্ঠতম ছিলেন তিনি। ব্রাহ্মণ সন্তান হলেও চারিত্রিক বৈশিষ্টে পরশুরাম ছিলেন ক্ষত্রিয়। পিতা জমদগ্নির হত্যার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক ২১ বার পৃথিবীর সমস্ত ক্ষত্রিয়কে হত্যা করেছিলেন তিনি। নিহত ক্ষত্রিয়দের রক্ত দিয়ে তৈরি করেছিলেন ৫টি হ্রদ।
2/4পুরান অনুসারে, কার্তবীর্যার্জুন নামে এক রাজা একবার মহর্ষি জমদগ্নির আশ্রম দর্শনে আসেন। আশ্রমে বেঁধে রাখা কামধেনুটি তাঁর খুব পছন্দ হয়। সেটিকে চুরি করে রাজ্যে ফিরে যান তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে পরশুরাম কার্তবীর্যার্জুনের রাজ্যে গিয়ে তাঁকে হত্যা করে কামধেনু উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরশুরাম আশ্রমে ফিরে আসার পর জমদগ্নির আশ্রমে পালটা হামলা চালায় কার্তবীর্যার্জুনের ১০০ পুত্র। ধ্যানরত অবস্থায় মহর্ষি জমদগ্নিকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে তারা।
3/4আশ্রমে ফিরে পিতার মৃতদেহ দেখে রাগে রণমূর্তি ধারণ করেন পরশুরাম। একাই তিনি কার্তবীর্যার্জুনের ১০০ পুত্রকে হত্যা করেন। এখানেই থামেননি তিনি, পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে গোটা পৃথিবীকে ক্ষত্রিয়শূন্য করেন তিনি। একে একে ২১ বার তিনি পৃথিবীকে ক্ষত্রিয়শূন্য করেছিলেন বলে কথিত রয়েছে।
4/4ক্ষত্রিয়দের হত্যা করার পর সেই রক্ত দিয়ে ৫টি হ্রদ তৈরি করেন পরশুরাম। পাঁচটি হ্রদকে একত্রে বলা হয় সমন্তপঞ্চক। যা বর্তমানে কুরুক্ষেত্র নামে পরিচিত। এর পরই তাঁর প্রবল অনুশোচনা হয়। পিতৃপুরুষের কাছে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করে ৫টি হ্রদকে তীর্থক্ষেত্রের মর্যাদা দেওয়ার অনুরোধ করেন পরশুরাম। পুনর্বার ক্ষত্রিয় হত্যা না করার শর্তে পরশুরামের অনুরোধ মেনে নেন পিতৃপুরুষেরা। সেই থেকে সমন্তপঞ্চক বা কুরুক্ষেত্র তীর্থে পরিণত হয়।