বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Tharoor on China Map Controversy: 'তাদের ভাষায় জবাব দেওয়া উচিত', চিনের মানচিত্রে অরুণাচল বিতর্কে আক্রমণাত্মক শশী থারুর
Tharoor on China Map Controversy: 'তাদের ভাষায় জবাব দেওয়া উচিত', চিনের মানচিত্রে অরুণাচল বিতর্কে আক্রমণাত্মক শশী থারুর Updated: 30 Aug 2023, 09:13 AM IST Abhijit Chowdhury চিনের স্ট্যান্ডার্ম মানচিত্রে অরুণাচলপ্রদেশকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দেখানো হয়েছে। যা নিয়ে এবার মুখ খুললেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। সোমবার প্রকাশিত মানচিত্রে অরুণাচলপ্রদেশ এবং আকসাই চিনকে নিজেদের দেশের অংশ হিসেবেই দেখিয়েছে বেজিং। এই আবহে বেজিংকে তাদের ভাষতেই জবাব দেওয়ার পরামর্শ দিলেন শশী। 1/5 এর আগে মানচিত্র বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছিলেন, 'কেউ ভুলভাল ভাবে মানচিত্রে কোনও এলাকাকে নিজেদের দেশের দাবি করলেই তা হয়ে যায় না।' জয়শংকরের এই কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। পাশাপাশি তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে চিনকে জবাব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বেজিংকে তাদেরই ভাষায় জবাব দিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন প্রাক্তন এই কূটনীতিক। 2/5 শশী থারুর বলেন, ভারতের উচিত 'এক চিন' নীতি না মানা। উল্লেখ্য, ভারত সরকারি ভাবে 'এক চিন' নীতি মেনে আসছে। অর্থাৎ, ভারত এটা মান্যতা দেয় যে তাইওয়ান চিনেরই অংশ। তবে এই অবস্থান থেকে সরে আসতে সরকারের কাছে আর্জি জানান শশী থারুর। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে তাইওয়ান দখল করার ইঙ্গিত দিয়েছে চিন। নিজেদের প্রকাশিত স্ট্যান্ডার্ড মানচিত্রেও তাইওয়ানকে চিনের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ চিন সাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকেও নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন। 3/5 এদিকে শশী থারুরের আরও পরামর্শ, তিব্বতের কোনও বাসিন্দা ভারতে আসতে চাইলে তাদের পাসপোর্টের পাতায় ভিসা না দিয়ে 'স্টেপল ভিসা' দেওয়া উচিত। অর্থাৎ, চিনা পাসপোর্টের পাতায় আলাদা একটা কাগজ স্টেপল করে তাতে ভিসা দেওয়া উচিত। উল্লেখ্য, চিন নিজে অরুণাচলের বাসিন্দাদের স্টেপল ভিসা দিয়ে থাকে। যা নিয়ে বারবার আপত্তি জানিয়ে এসেছে ভারত। সম্প্রতি এই ইস্যুর জেরে ভারতের উশু মারশিয়াল আর্টিস্টরা চিনে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাননি। 4/5 এদিকে মানচিত্র নিয়ে এই বিতর্ক সামনে আসতেই কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি কেন্দ্রকে পরামর্শ দেন, 'G20-র বৈঠকে দিল্লিতে যেন জিনপিংকে আসতেই না দেওয়া হয়'। উল্লেখ্য, এবছর জি২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে ভারত। আর কয়েকদিন পরই দিল্লিতে এই গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি আসার কথা চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। তবে তার আগেই ফের নতুন করে ভারত-চিন সংঘাতের আবহ তৈরি হল বেজিংয়ের প্রকাশিত মানচিত্রকে ঘিরে। 5/5 এর আগে সদ্য অনুষ্ঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কথা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শি জিনপিংয়ের। এই কথোপকথন নিয়েও তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই কথোপকথন প্রসঙ্গে বলা হয়েছিল, ভারতের তরফেই নাকি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার আবেদন জানানো হয়েছিল। পরে মুখ খোলে ভারত। জানায়, ভারত নয়, বরং চিনই দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এসেছিল যাতে জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদী কথা বলেন।