আজ ডিএ আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযান। আদালতের তরফে অনুমতি দেওয়া হয় এই মিছিলের। তবে সরকারি কর্মীদের প্রস্তাবিত পথে আজ মিছিল হবে না। মিছিল হবে নয়া রুট ধরে। কোন পথে আজ নবান্ন অভিযান করবেন কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যরা?
1/5 নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। সেই মিছিলের অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত। গত ২ তারিখ এই মামলার রায় দেয় হাই কোর্ট। পাশাপাশি শাসকদলের মিছিলের উদাহরণ টেনে তুলে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা পুলিশকে প্রশ্ন করেন, 'শাসকদল যখন মিছিল করে, তখন কোনও সমস্যা হয় না?'
2/5 এদিকে সরকারি কর্মীদের মিছিলের অনুমতি দিলেও যাত্রাপথ বদল করতে বলেন বিচারপতি। যে পথে ডিএ আন্দোলনকারীরা নবান্নে যাবেন বলে স্থির করেছিলেন, সেই পথে যাওয়া যাবে না বলে জানান বিচারপতি মান্থা। এই পরিস্থিতিতে আজ হাওড়ার ফেরিঘাট, বঙ্কিম সেতু, মহাত্মা গান্ধী রোড হয়ে হাওড়া ময়দানে শেষ হবে মিছিল।
3/5 এদিকে ডিএ আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযান নিয়ে মামলার শুনানিতে গত পরশু বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পর্যবেক্ষণ করেন, বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সবার মৌলিক অধিকার। এই আবহে রাজ্য সরকারি কর্মীরা সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল করতে চাইলে তাতে বাধা দিতে পারে না সরকার। এই আবহে রাজ্য প্রয়োজনে মিছিল নিয়ে বিধি নিষেধ আরোপ করতে পারে। তবে কর্মসূচি বন্ধ করা যায় না।
4/5 বিচারপতি মান্থা জানান, নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি মামলা তাঁর এজলাসে জমা পড়ে। এই আবহে সরকারকে তাঁর প্রশ্ন, মিছিল করার জন্য কেন আদালতকে বার বার হস্তক্ষেপ করতে হবে? তিনি পর্যবেক্ষণে বলেন, 'আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবির কথা তুলে ধরতে চাইছেন। এই আবহে যদি শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন হয়, তাহলে তাতে সরকারের সমস্যা কোথায়? সরকার এই ধরনের কর্মসূচিতে বাধা দিতে পারে না।'
5/5 এদিকে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, ডিএ মামলা যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তাই এই নিয়ে আন্দোলন বা মিছিলের কোনও যৌক্তিকতা নেই। এর জবাবে বিচারপতি মান্থা বলেন, 'মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন ঠিকই। কিন্তু শীর্ষ আদালত তো আন্দোলন করতে নিষেধ করেনি।' এদিকে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা মাথায় রেখে মিছিলের রুট পরিবর্তন করতে বলেন বিচারপতি। পরে সেই মতো ডিএ আন্দোলনকারীরা মিছিলের রুট বদল করেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, আজকের মিছিলে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার সরকারি কর্মী অংশগ্রহণ করবেন। দুপুর আড়াইটের সময় শুরু হবে মিছিল।