দু'দিন আগেই ডিএ আন্দোলনের ১০০তম দিন উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া এবং শাসকদলের 'সেনাপতি' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল করেন সরকারি কর্মীরা। আর আজ থেকে ডিএ-র দাবিতে জেলায় জেলায় আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
1/5ডিএ-র দাবিতে গত জানুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল সরকারি কর্মীদের অবস্থান বিক্ষোভ। মাঝে দীর্ঘদিন অনশনও চলে সরকারি কর্মীদের। তবে হকের ডিএ-র দাবি মেটানো হয়নি সরকারের তরফে। সম্প্রতি হাই কোর্টের নির্দেশে সরকারপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক হয়েছিল বটে। তবে তাতে কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। এই আবহে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল আগেই। (PTI)
2/5গত ৬ মে ছিল ডিএ আন্দোলনের ১০০তম দিন। সেই উপলক্ষে হাজরা মোড় থেকে মহামিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল ডিএ আন্দোলনকারীদের তরফে। সরকারি কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া এবং অভিষের বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'শান্তিনিকেতনে'র পাশ দিয়ে হেঁটে যান শান্তিপূর্ণ ভাবে। তবে মাঝে মিছিল থেকে 'চোর চোর' স্লোগান উঠেছিল বলে অভিযোগ। মিছিল শেষে জনসভা থেকে ডিএ আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। (PTI)
3/5সেই মতো মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানিয়ে দেন, রাজ্যজুড়ে ডিএম অফিস ঘেরাও করা হবে। সঙ্গে অবস্থান বিক্ষোভের কথাও ভাবা হচ্ছে। তাছাড়া সরকারকে চাপে ফেলতে কর্মীদের লাগাতার কর্মবিকরতিতে যাওয়ারও ঘোষণা করা হতে পারে শীঘ্রই। যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বৈঠক করে আন্দোলনের পরবর্তী ছক কষা হবে। (PTI)
4/5এদিকে ডিএম অফিস ঘেরাও প্রসঙ্গে সরকারি কর্মীদের সমর্থন করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এই প্রসঙ্গে আজ সকালে বলেন, 'ঠিকই আছে। তাঁরা তাঁদের অধিকারের জন্য লড়াই করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি টাকার জন্য ধরনা দিতে পারেন তাহলে সরকারি কর্মচারীরা ডিএ-র দাবিতে ধরনা দিতে পারেন না? তাঁরা চাকরি করছেন। তাঁরা তাঁদের বেতন চাইছেন।' (PTI)
5/5 এদিকে আজ, সোমবার খাদ্য ভবনে নতুন করে আন্দোলন করার পরিকল্পনা করেছেন সরকারি কর্মীরা। ডিএ আন্দোলনকারীরা এদিন খাদ্যভবনের কাজকর্ম পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে চলেছেন। ডিএ আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, খাদ্যভবনে কর্মরত দেবু সিনহা এবং সৌমেন্দ্রনারায়ণ বসুকে বেআইনিভাবে অন্য জেলায় বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এই আবহে গত ৩ মে খাদ্যভবনে দুই উচ্চপদস্থ কর্তা - অজয় ভট্টাচার্য এবং সুমন ঘোষকে পাঁচ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয়। আর আজ খাদ্য সচিব এবং দফতরের মন্ত্রীকে ঘেরাও করার ছক কষছেন আন্দোলনকারীরা। (PTI)