WB Govt on DA Protest: মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) দাবিতে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এবং ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তা নিয়ে এবার কড়া হুঁশিয়ারি দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
1/7 মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের কর্মবিরতি রুখতে কড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এবং ২১ ফেব্রুয়ারি যে সরকারি কর্মচারীরা 'ছুটি' নেবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ওই দু'দিন 'ব্রেক ইন সার্ভিস' বলে বিবেচনা করা হবে। সেইসঙ্গে শোকজ নোটিশ জারি করবে রাজ্য সরকার। সেই নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না মিললে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)
2/7 এমনিতে বকেয়া ডিএ এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদানের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কর্মবিরতি পালন করেছেন। শহিদ মিনারে ধরনা এবং অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। তারইমধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বাজেট পেশের সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, মার্চ থেকে তিন শতাংশ ডিএ বাড়বে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)
3/7 সেই ঘোষণার ফলে মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ছয় শতাংশ (ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায়)। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ৩৮ শতাংশ ডিএ পান (যা শীঘ্রই ৪২ শতাংশ হতে পারে)। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ‘ভিক্ষার দান’ গ্রহণ করবেন না বলে হুঁশিয়ারিি দেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক)
4/7 সেইসঙ্গে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএয়ের দাবিতে আগামী সোমবার এবং মঙ্গলবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হলে (কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা) আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক)
5/7 রাজ্য সরকার: ২০ ফেব্রুয়ারি এবং ২১ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি সংস্থা যে পেনডাউন বা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কয়েকটি সংগঠন, সেই পরিস্থিতিতে স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে যে ওই দু'দিন সরকারি কর্মচারীদের বাধ্যতামূলকভাবে অফিসে আসতে হবে। প্রথম ভাগ বা দ্বিতীয় ভাগ বা পুরো দিন ছুটি নিলে ক্যাজুয়াল লিভ নিতে পারবেন না। অন্য কোনও ধরনের ছুটিও নিতে পারবেন না তাঁরা। যে সরকারি কর্মচারীরা ১৭ ফেব্রুয়ারি ছুটি নিয়েছিলেন, তাঁদের ২০ ফেব্রুয়ারি অফিসে রিপোর্ট করতেই হবে। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএনআই)
6/7 রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যে সরকারি কর্মচারীরা ওই দু'দিন কাজে যোগ দেবেন না, তাঁদের 'ব্রেক ইন সার্ভিস' (কর্মজীবনে ছেদ) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যে কর্মচারীরা ওই দু'দিনের মধ্যে একদিন বা দু'দিনই অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের শোকজ নোটিশ জারি করা হবে। কেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হবে। সন্তোষজনক উত্তর না মিললে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএনআই)
7/7 বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বঞ্চনা গগনচুম্বী হয়ে গিয়েছে। মাত্র তিন শতাংশ ডিএ দিয়ে হাত গুটিয়ে নিতে চাইছে রাজ্য সরকার। ২১-২২ দিন ধরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। সরকারের পক্ষে থেকে তাঁদের ডেকে আলোচনাও করা হয়নি। এই ধরনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে ধিক্কার জানাচ্ছি।’ (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক)