বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Diamond Harbour Coin Mystery: ডায়মন্ড হারবারে 'খুচরো রহস্য', মিলল ১২৫ বস্তা ভরতি লাখ লাখ টাকার কয়েন
Diamond Harbour Coin Mystery: ডায়মন্ড হারবারে 'খুচরো রহস্য', মিলল ১২৫ বস্তা ভরতি লাখ লাখ টাকার কয়েন Updated: 26 Apr 2023, 09:42 AM IST Abhijit Chowdhury নৌকায় চাপিয়ে প্রচুর সংখ্যক বস্তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই বস্তাগুলিতে ছিল খুচরো কয়েন। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মন্ড হারবারের নৈনান ঘাটে গতকাল রাতে এই কয়েনগুলি উদ্ধার হয়েছে। জানা যায়, প্রায় ১২৫টি বস্তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল নৌকা করে। এত খুচরো টাকা কোথা থেকে এসেছে, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। 1/6 স্থানীয়দের থেকে কয়েন ভরতি বস্তার খবর পেয়ে নৈনান ঘাটে পৌঁছায় পুলিশ। রহস্য ভেদে শুরু হয় তদন্ত। যে ব্যক্তি কয়েন নিয়ে এসেছিলেন এবং যিনি কয়েন ভরতি বস্তাগুলি নিতে এসেছিলেন, তাঁরা দু'জনেই উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলেই। স্থানীয়রা তাঁদের আটকে রেখেছিল। পুলিশ তাঁদের জেরা করে। 2/6 দুই ব্যক্তিকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পেতেন এক ঠিকাদার। এর মধ্যে থেকে ৩ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা মেটাতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই আবহে নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির তরফে লিখিত তথ্য দেওয়া হয় পুলিশকে। 3/6 উল্লেখ্য, নৈনান ঘাটে এক ব্যক্তির লিজ রয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফে সেই ফেরিঘাটের লিজে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ফেরির টিকিট বাবদ কয়েনে টাকা সংগ্রহ করা হয়। সেই কয়েনই ইটভাটার মালিককে দেওয়া হচ্ছিল পাওনা মেটাতে। তাই এই বিপুল সংখ্যক কয়েন সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। 4/6 জানা গিয়েছে, এই বিপুল সংখ্যক বস্তা নিয়ে নৈনান ফেরিঘাট থেকে শিবগঞ্জে যেতে চেয়েছিলেন ইটভাটার মালিক। তবে নৌকার মাঝি ও সহযাত্রীরা এতে আপত্তি জানায়। এতেই বিপত্তির সূত্রপাত। পরে সেখানে পৌঁছায় রামনগর থানার পুলিশ। এদিকে পুলিশ কয়েনের রশিদ দেখতে চাইলে সেই ব্যক্তি তা দেখান। পরে পুলিশি নিরাপত্তাতেই সেই কয়েনের বস্তা নিয়ে ফেরি পারাপার করা হয়। 5/6 পুলিশের তরফে জানানো হয়, পঞ্চায়েতের কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পেতেন হাওড়ার শ্যামপুর থানার মোল্লাহাট এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সিংহ। সেই টাকা মেটাতে রাধাকৃষ্ণ মান্না কয়েন নিয়ে আসেন। এই রাধাকৃষ্ণ দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার লালপোলের বাসিন্দা। তিনি ‘নিউ লোকনাথ বিল্ডার্সের’ মালিক। পাশাপাশি ফেরি ঘাটের লিজ রয়েছে তাঁর কাছে। এদিকে বিশ্বজিৎ সিংহ একটি ইটভাটার মালিক। 6/6 পাওনার ৩ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা মেটাতে ১২৫ বস্তা ভরতি এক টাকার কয়েন বিশ্বজিৎকে দেন রাধাকৃষ্ণবাবু। প্রতিটি বস্তায় ২৫০০টি করে এক টাকার কয়েন ছিল। তবে বিশ্বজিতের কাছে এত সংখ্যক কয়েন ভরতি বস্তা দেখে সন্দেহ হয় সহযাত্রীদের। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে সব দেখে শুনে বিশ্বজিৎকে নিরাপদে তাঁর বাড়ি পৌঁছে দেয়।