২২ বছরের ছোট সায়রাকে ছেড়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন দিলীপ, ভুলও স্বীকার করেছিলেন Updated: 07 Jul 2021, 11:30 AM IST Tulika Samadder গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 1/7 দিলীপ কুমার ও সায়রা বানুর মধ্যে বয়সের ব্যবধান ছিল ২২ বছরের। কিন্তু তা কখনও চোখে পড়েনি সেভাবে। বরং, একে-অপরকে ধরে রেখেছিলেন আঁকড়ে। শেষ জীবনে সায়রাই ছিল দিলীপের সব থেকে বড় ভরসা। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 2/7 ১৯৬৬-র ১১ অক্টোবর সায়রা বানু ও দিলীপ কুমারের বিয়ে হয়। ‘ঝুক গয়া আসমান’ ছবির সেটে সায়রা বানুকে প্রোপোজ করেন দিলীপ সাব। তাঁর আগে থেকেই সায়রা পাগল ছিলেন দিলীপ কুমারের প্রেমে। তাই তৎক্ষণাত হ্যাঁ করে দিয়েছিলেন। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 3/7 জানা যায়, ১৯৬০ সালে যখন দিলীপ কুমারের ছবি ‘মুঘল-ই-আজম’ ছবির প্রিমিয়ার ছিল মারাঠা মন্দিরে তখন প্রখ্যাত অভিনেতাকে দেখতে গিয়েছিলেন ১২ বছরের সায়রা। তার আগে থেকেই প্রেমে পড়েন। বিশ্বাস করতেন, তিনিই একদিন দিলীপ ঘরণী হবেন। কিন্তু সেদিন প্রিমিয়ারে আসতে পারেননি দিলীপ। মন ভেঙে যায় সায়রার। ঠিক করেন অভিনয় জগতে পা রাখবেন দিলীপ কুমারের সঙ্গে পরিচয় করার জন্য। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 4/7 দিলীপ-সায়রার প্রেমে সবথেকে বড় হাত ছিল সায়রা বানুর মা নাসিম বানু-র। তিনিই দু'জনের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। প্রায় ৫৪ বছর ধরে সংসার করছেন এই তারকা জুটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলীপ কুমারের সঙ্গে কাটানো নানা মুহূর্ত, অভিনেতাকে নিয়ে নিজের আবেগ ভরা পোস্ট প্রায়ই শেয়ার করতেন তিনি। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 5/7 তবে দিলীপ আর সায়রার প্রেমের পথ পুরোটাও মসৃণ ছিল না। সায়রা বানুর সঙ্গে বিয়ের ১৬ বছর সংসার করার পর তাঁকে ত্যাগ করে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন দিলীপ সাব। আসমা রেহমানকে বিয়ে করা যে ভুল ছিল তা অবশ্য নিজেই স্বীকার করেছিলেন। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 6/7 ফিরে এসেছিলেন প্রথম স্ত্রী সায়রা বানুর কাছেই। শেষ জীবন অবধি ছিলেন একসাথে। এমনকী, এই ঘটনা একটা অভিশপ্ত সময় মেনে নিয়ে ভুলে গিয়েছিলেন সায়রাও। স্বামীর দেখভাল করতে ১৯৭৬ থেকে কাজ বন্ধ করেন। সবসময় ভগবানকে ধন্যবাদ জানাতেন ‘কোহিনুর’ দিলীপকে তাঁর জীবনের অঙ্গ হিসেবে পাওয়ায়। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 7/7 দিলীপ তাঁর ‘দ্য সাবস্ট্যান্স অ্যান্ড শ্যাডো’ আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, সায়রা মাঝে একবার গর্ভবতী হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই তাঁর গর্ভপাত হয়। তারপর আর কোনও দিন সায়রা সন্তানসম্ভবা হতে পারেননি। ওই ঘটনা কষ্ট দিয়েছিল দু'জনকেই। কিন্তু পা পিছনে ফেলে এগিয়ে ছিলেন। জীবন কাটিয়েছিলেন হাসিমুখে। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন