ফ্রি রেশন নিয়ে কয়েকদিন আগেই বড় ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তাঁর সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কারণ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারেরই এক বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে মিলছে না মোদীর কথা। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ঘোষণা কি তাহলে শুধু মন ভোলানো কথা ছিল?
1/5 গত ৪ নভেম্বর ছত্তিশগড়ে নির্বাচনী জনসভা থেকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া নিয়ে বড় ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিন মোদী জানিয়েছিলেন, আগামী পাঁচবছরের জন্যে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে দেশের ৮০ কোটি নাগরিককে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনেই এই ফ্রি রেশন মিলবে বলে জানা গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেল, ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে এই প্রকল্প।
2/5 এই আবহে প্রশ্ন উঠেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে যদি প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আগামী পাঁচবছর দেশবাসীকে কীভাবে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে? মনে করা হচ্ছে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পাঁচবছরের জন্য ফ্রি রেশন দেওয়ার ঘোষণা করতে পারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার।
3/5 এর আগে সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এখনও পাঁচ বছরের জন্য ফ্রি রেশন দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদনই পায়নি। তার আগেই এই নিয়ে ঘোষণা করে দেন প্রধানমন্ত্রী। এই আবহে আনুষ্ঠানিক ভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পেশ করে তা পাশ করিয়ে তারপর এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
4/5 লোকসভা নির্বাচনের আগে 'সেমিফাইনাল' পরীক্ষার সামনে বিজেপি। ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ সহ দেশের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে মিজোরামে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে আজ ভোট হচ্ছে। এরপরই আগামী বছর লোকসভা ভোট। এই আবহে ছত্তিশগড়ে নির্বাচনী জনসভা থেকে বড় ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী জানান, আগামী পাঁচবছরের জন্যে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে দেশের ৮০ কোটি নাগরিককে।
5/5 উল্লেখ্য, কোভিডের আবহে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে দেশে বিনামূল্যে রেশন বিতরণ শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দীর্ঘ লকডাউনের আবহে কেন্দ্রের এই বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা অনেকের জীবন বাঁচিয়েছে। এটা বিশ্বের সর্ববৃহৎ খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে পরিণত হয়। তবে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই প্রকল্পের মেয়াদ আছে। ওই প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রের কোষাগারে বছরে দু'লাখ কোটি টাকা বোঝা চাপছে। তবে গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি এখনও অনুমোদন পায়নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেই।