বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Disinvestment News: পরিকল্পনাই সার, টানা ৫ বার ফেল, বিলগ্নীকরণের লক্ষ্য থেকে কোটি হস্ত দূরে মোদী সরকার
Disinvestment News: পরিকল্পনাই সার, টানা ৫ বার ফেল, বিলগ্নীকরণের লক্ষ্য থেকে কোটি হস্ত দূরে মোদী সরকার Updated: 26 Nov 2023, 03:40 PM IST Abhijit Chowdhury বিলগ্নীকরণের নাম করে দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে কোষাগার ভরানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে গত পাঁচবছর ধরে নিজেদের লক্ষ্যে একবারও পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি কেন্দ্র। ২০২৩ সালেও সেই লক্ষ্য কয়েক কোটি হস্ত দূরেই থেকে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। 1/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিলগ্নীকরণের মাধ্যমে ৫১ হাজার কোটি টাকা কোষাগারে তোলার পরিকল্পনা করেছিল কেন্দ্র। তবে সেই লক্ষ্য থেকে অনেকটাই দূরে থেকে যাবে সরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী, এবছরের লক্ষ্য থেকে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা কম ঢুকবে সরকারের পকেটে। যদিও এখনও চলতি অর্থবর্ষের চারমাস বাকি। তবে এর মধ্যেও ৩০ হাজার কোটির ঘাটতি দেখা যাবে বিলগ্নীকরণের হিসেব খাতায়। 2/5 আসা করা হচ্ছিল, সরকারি মালিকানাধীন এনএমডিসি স্টিল এবং আইডিবিআই ব্যাঙ্ককে বেসরকারি খাতে তুলে দিয়ে এই অর্থবর্ষে ৫১ হাজার কোটি টাকা কোষাগারে ভরার পরিকল্পনা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে মনে হচ্ছে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের বিলগ্নীকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে না এই অর্থবর্ষে। এদিকে বিভিন্ন নির্বাচনের জেরে এনএমডিসি স্টিলের বিলগ্নীকরণও থমকে। 3/5 তবে ছোটখাটো সংস্থার বিলগ্নীকরণের মাধ্যমে সরকার এবছর প্রায় আট হাজার কোটি টাকা পকেটে ভরতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। যদিও নির্ধারিত লক্ষ্যের আর্ধেকেরও কম এই পরিমাণ। এদিকে শুধু এবছর নয়, বিগত পাঁচবছর ধরে টানা এই বিলগ্নীকরণের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে ব্যর্থ হয়েছে মোদী সরকার। তবে বিশেষ করে এবছরে বিলগ্নীকরণ বা বেসরকারিকরণ ধীর গতিতে চলছে রাজনৈতিক কারণে। 4/5 আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। এমনিতেই বিরোধীরা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি ইচ্ছে করে বিক্রি করে দিচ্ছেন মোদী। এই ইস্যুটিকে রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগাতে মরিয়া বিরোধীরা। আর তাই কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি সেই হাতিয়ার নিজে হাতে বিরোধীদের হাতে তুলে দিতে চাইছে না। 5/5 এদিকে বিশেষজ্ঞদের মত, সার্বিক ভাবে অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা যতক্ষণ পূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ বিলগ্নীকরণের লক্ষ্যমাত্রায় ঘাটতির বিষয়টি সরকারের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। এই অর্থবর্ষে সরকারের লক্ষ্য, ডিজিপির ৫.৯ শতাংশের মধ্যে আর্থিক ঘাটতিকে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সরকারের তরফে মনে করা হচ্ছে, বিলগ্নীকরণের লক্ষ্যমাত্রার আর্ধেকের বেশি ঘাটতি থাকলেও সার্বিক ভাবে আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রায় তা প্রভাব ফেলবে না।