২০১৬ সালের আগে রাজ্য সরকারি স্কুলে মাধ্যমিক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত সকলের নথি যাচাই করে দেখতে হবে। সিআইডি-কে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, চাকরিপ্রার্থী সোনা রায়ের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
1/5 হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে চাকরিপ্রার্থী সোমা রায় অভিযোগ করেছিলেন, চাকরিতে থাকা অনেক শিক্ষকই ভুয়ো। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা উচ্চ আদালতের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন, ২০১৬ সালের আগে রাজ্য সরকারি স্কুলে মাধ্যমিক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত সকলের নথি যাচাই করে দেখতে হবে।
2/5 এই পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা উচ্চ আদালতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১ লাখ ৮৬ হাজার মাধ্যমিক শিক্ষক এখন বহাল আছেন রাজ্যে। এদিকে হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দেন, ২০১১ সাল থেকে জেলা পরিদর্শকদের কাজ খতিয়ে দেখতে হবে সিআইডিকে।
3/5 তবে ঠিক কী খতিয়ে দেখবে সিআইডি? হাই কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশপত্র এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র দেখিয়েই শিক্ষকদের চাকরি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে সিআইডির তদন্তকারীদের।
4/5 প্রসঙ্গত, সোমা রায়ের মামলাতেই জানা যায়, মুর্শিদাবাজের গোঠা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেষ ভুয়ো নথি দেখিয়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরে আশিস, অনিমেষ সহ বেশ কয়েকজনকে সিআইডি গ্রেফতার করেছিল। পরে বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরের স্কুলেও ভুয়ো শিক্ষকের কথা জানা গিয়েছে। এদিকে গৌঠা স্কুলে আশিসের সাহায্যে আরও এক ভুয়ো শিক্ষকও নাকি বহাল হয়েছিলেন।
5/5 এই আবহে রাজ্যকে জেলা ধরে ধরে চাকরতে বহাল হওয়া সব শিক্ষকদের তথ্য ভাণ্ডার তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পাশাপাশি ২০১৬ সালের আগে নিয়োগ পাওয়া সব শিক্ষকের নথি যাচাইয়ের জন্য সিআইডিকে পদক্ষেপ করতে বলেছেন তিনি।