1/7 তেল ছাড়া রান্না সম্ভব নয়। কিন্তু কোনও কোনও তেল শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়। তেমন বহু তেলই আমরা নিয়মিত খায়। কিন্তু সেগুলির বদলে অন্য তেল খেলে শরীরের বহু ধরনের উপকার হতে পারে। দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন তেলে নিয়মিত রান্না করলে উপকার পাবেন।
3/7 নারকেল তেল: এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধ করে। নারকেল তেলে কার্বোহাইড্রেট নেই। প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য এটি নির্দ্বিধায় রান্নায় ব্যবহার করা যেতে পারে। খাবারে নারকেল তেল যোগ করলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। নারকেল তেলে লরিক অ্যাসিডের উপস্থিতি ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতে পারে। এটি ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ এবং ভিটামিন হজম করতে সাহায্য করে।
4/7 অলিভ তেল: অলিভ অয়েলে কোলেস্টেরল কম। পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেট নেই। কিন্তু এর ক্যালোরির মাত্রা বেশি। এটি ডায়াবিটিস, রক্তচাপ এবং হৃদরোগের মতো সমস্যাগুলি দূর করে। খনিজ এবং ভিটামিনের দারুণ সমন্বয় এটি। ভিটামিন কে, ফসফরাস, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং জিঙ্ক রয়েছে এতে। অলিভ অয়েলে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ভালো কোলেস্টেরল তৈরি করতে সাহায্য করে। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অলিভ অয়েল অন্তর্ভুক্ত করলে কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে নিরাপদে থাকা যায়।
5/7 সূর্যমুখী তেল: এই তেলে থাকা ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এতে কোনও কার্বোহাইড্রেট নেই। তবে প্রচুর ভালো ফ্যাট রয়েছে। উচ্চ পরিমাণে ওলিক অ্যাসিড এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। পরিমিত পরিমাণে সেবন করলে আপনার শরীরে পুষ্টি মাত্রা বজায় থাকবে।
6/7 তিলের তেল: তিলের বীজ থেকে প্রাপ্ত তেলে কোনও কার্বোহাইড্রেট নেই। এটি ভিটামিন ই-তে সমৃদ্ধ। এটি আলঝাইমার রোগ, ক্যানসার এবং ছানি প্রতিরোধ করে। যে তেলে ক্যালোরি বেশি থাকে, তা পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। এটির ক্ষেত্রেও তাই। এইতেল হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এটির স্বাদ এবং সুবাস খাবার খাওয়ার আগ্রহও বাড়িয়ে দেয়।
7/7 মাখন: এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ শক্তি চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। মাখনে থাকা ভালো কোলেস্টেরল কোষের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ত্বক, দৃষ্টিশক্তি এবং চুলের জন্য খুবই ভালো। আপনার শরীরে নানা ধরনের পুষ্টি জোগায় মাখন।