2/6 দক্ষিণ আফ্রিকার পিচ ও পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে খুব একটা ধারণা নেই যশস্বী জসওয়াল, শুভমন গিলদের। ওদেশে পৌঁছে নিজেদের মধ্যে একটি মাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে টিম ইন্ডিয়া। পিচের বাউন্সের সঙ্গে সড়গড় হওয়ার জন্য ইন্টার স্কোয়াড প্র্যাক্টিস ম্যাচ যথেষ্ট নয় বলে দাবি সুনীল গাভাসকরের মতো বিশেষজ্ঞের। সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট হেরে উঠে ক্যাপ্টেন রোহিত স্বীকার করে নেন যে, তাঁরা পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ক্রিকেট খেলতে পারেননি। ছবি- পিটিআই।
3/6 সেঞ্চুরিয়নে টস ও আবহাওয়া ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব ফলেছে বলা যায়। ম্যাচের প্রথম দিন মেঘাচ্ছন্ন স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ব্যাট করতে হয় ভারতকে। ঘাসে ভরা তাজা পিচে এমন আবহাওয়ায় প্রোটিয়া পেসারদের সামলানো সহজ ছিল না। ম্যাচের তৃতীয় দিনে আবহাওয়া ছিল ঝকঝকে। দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের তাই রান তুলতে অসুবিধা হয়নি। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ভারতের ঘাড়ে বড়সড় লিড চাপিয়ে দিয়েই বাজিমাত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ছবি- বিসিসিআই।
4/6 সেঞ্চুরিয়নে ভারতের ফিল্ডিং নিশ্ছিদ্র ছিল না। মারকো জানসেন, জেরাল্ড কোয়েটজিরা জীবনদান পেয়ে মূল্যবান রান যোগ করেন দলের ইনিংসে। যার ফলেই ভারতের ঘাড়ে বড়সড় লিড চাপিয়ে দিতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। ছবি- এপি।
5/6 ভারতীয় পেসাররা সঠিক লাইন-লেনথে ক্রমাগত বল রাখতে ব্যর্থ হন। ধারাভাষ্যকাররা একসময় বিরক্ত হয়ে বলেই ফেলেন যে, টেস্ট ক্রিকেটে লাইন নিয়ে ছেলেখেলা করা বোকামি। যদি ব্যাটসম্যানদের বিব্রত করতে ক্রমাগত কিছু বদলাতে হয়, সেটা হল লেনথ। প্রসিধ কৃষ্ণা, শার্দুল ঠাকুররা প্রোটিয়া ব্যাটারদের উপর চাপ তৈরি করতে পারেননি। রবি শাস্ত্রী তো একসময় স্পষ্ট জানান যে, এই টেস্টে ভারত মহম্মদ শামির অভাব টের পেয়েছে। ছবি- পিটিআই।
6/6 কেপ টাউনের দ্বিতীয় টেস্টে ভারতকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে সবার আগে পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ বোলারদের দিকে তাকিয়ে নয়, বরং বলের মান অনুযায়ী ব্যাট করতে হবে শুভমন গিলদের। সেই সঙ্গে ভারতীয় পেসারদের পিচ ও আবহাওয়াকে যথাযথ কাজে লাগাতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফিল্ডাররা ক্যাচ ছাড়লে প্রোটিয়াদের পালটা লড়াই ফিরিয়ে দেওয়া মুশকিল হবে ভারতের পক্ষে। ছবি- পিটিআই।