১৯ সেপ্টেম্বর থেকেই মরুশহরে শুরু হয়ে যাচ্ছে আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগের মহারণ। করোনা পরিস্থিতি, জৈব বলয় ও আরও নানা কারণে প্রথম ভাগে অংশ নেওয়া বহু ক্রিকেটারকেই দ্বিতীয় ভাগে দেখা যাবে না। তবে তাঁদের বদলি হিসাবে আসা বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার নিজেরাই নজর কাড়তে সক্ষম। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই সব ক্রিকেটারদের।
1/5 আইপিএলের আগে সদ্য ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগ (সিপিএল) শেষ হয়েছে। টুর্নামেন্টের ফাইনালে ব্যর্থ হলেও গোটা টুর্নামেন্টে ৪৭.৩৩ গড় ও ১৬৩-র অধিক স্ট্রাইক রেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মোট ৪২৬ রান করেন এভিন লুইস। তাঁর আশায় যে রাজস্থান রয়্যালসের ওপেনিং পজিশন নিয়ে চিন্তা মিটবে, তা আলাদা করে বলে দিতে লাগে না।
2/5 আইপিএলে এখনও অবধি ৪০ ম্যাচে মাত্র ২৮টি উইকেটই নিতে পেরেছেন টিম সাউদি। তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ৯৯টি শিকার প্রমাণ করে দেয় তাঁর কাছে অভিজ্ঞতার পাশপাশি দক্ষতাও রয়েছে। হাওয়ায় সামান্য মদত থাকলে নিজের ঘাতক সুইংয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের নাজেহাল করতে ওস্তাদ এই কিউয়ি তারকা। ভাগ্য ফেরাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সও তাঁর থেকে এমন প্রত্যাশাই রাখবে।
3/5 শামসির পরেই আইসিসির তালিকায় বিশ ওভারের ক্রিকেটে বোলারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নয় রানে চার উইকেটে নিয়ে ভারতীয় জনগণকে নিজের ব্যক্তিগত দক্ষতার পরিচয় আগেই দিয়েছেন লঙ্কান তারকা। ব্যাটটাও তিনি কিন্তু মন্দ করেননা। সুযোগ পেলে যে কোন ম্যাচের রঙ বদলে দিতে সক্ষম হাসারাঙ্গা।
4/5 বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি বোলার তাবরেজ শামসির থেকে পাঁচ বছর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলা শামসির মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ ওভারের ক্রিকেটে সাতের নীচে ইকোনমি ও ২১.৬১-র গড়, তাঁর যোগ্যতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। আমিরশাহির স্পিন সহায়ক পিচে নিঃসন্দেহে তিনি রাজস্থানের হয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন।
5/5 বদলি প্লেয়ারদের বাছাইয়ে সকলকে বেশ খানিকটা চমকে দিয়েই সিঙ্গাপুরের অলরাউর টিম ডেভিডকে দলে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। তবে পরিসংখ্যানের বিচারে কিন্তু তাঁকে দলে নেওয়ায় একেবারেই চমকানোর মতো কিছু নেই। সিপিএলে সেন্ট লুসিয়ার হয়ে ৩৫-র গড় ও ১৪৬-র স্ট্রাইক রেটে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৮২ রান করেন টিম।