কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নজরে এবার ‘বাবুগিরি’ দেখানো সরকারি কর্মচারীরা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘বাবুগিরি দেখানো সরকারি অফিসারদের বেতনবৃদ্ধি কেন হবে? তাঁদের অন্যান্য সুযোগ,সুবিধাই বা কেন দেওয়া হবে?’ এই আবহে এবার ভিজিল্যান্স কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত।
1/5 বিচারপচতি গঙ্গোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, ‘যাঁরা নিজেদের দায়িত্বটুকুও পালন করেন না. কেন তাঁদের বেতন, ডিএ দেওয়া হবে৷’ বিচারপতি বলেন, ‘এই ধরনের সরকারি অফিসারদের বেতনবৃদ্ধি বা অন্যান্য সুযোগ, সুবিধা দেওয়ার পক্ষে নয় এই আদালত। তাঁরা নিজের কাজ করছেন কি না, তার তদন্ত আবশ্যক।’
2/5 বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ১৫ দিনের মধ্যে তাঁকে ভিজিল্যান্স কমিশনারকে এই রিপোর্ট রিপোর্ট দিতে হবে উচ্চ আদালতে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেন, যে সকল সরকারি কর্মচারীরা অফিসে ‘বাবুগিরি’ করছেন, তা খতিয়ে দেখবেন ভিজিল্যান্স কমিশনার।
3/5 উল্লেখ্য, সরকারি স্কুলে চাকরি পাওয়া আশা শ্রীবাস্তবের দায়ের করা এক মামলার প্রেক্ষিতে এই শুনানি হয়। ১৯৯৯ সালে চাকরি পাওয়া আশার চাকরি চলে যায় ২০০১ সালে। পরে অবশ্য কলকাতা হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি ফিরে পান। ২০২০ সালে অবশর নেন আশা। তবে তিনি ডিএ এবং বকেয়া পাননি। এই আবহে অভিযোগ জানিয়েও লাভ না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আশা।
4/5 আশা শ্রীবাস্তবের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই কলকাতা জেলা স্কুল পরিদর্শককে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জেলা স্কুল পরিদর্শক আদালতে হাজিরা দিয়ে জানান, আদালতের নির্দেশের পর মঙ্গলবার রাতেই টাকা পাঠানো হয়েছে।
5/5 স্কুল পরিদর্শককে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, দু’বছর কেন আটকে ছিল এই টাকা? জবাবে স্কুল পরিদর্শক জানান, নথি যাচাই করে ২ বছর আগে শিক্ষা দফতরকে পাঠানো হয়েছিল। তার পর তা ক্লার্কের টেবিলে পড়ে ছিল। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, ‘বাবু কালচার বন্ধ করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।’