খলিস্তানপন্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। এরই মাঝে এবার নয়া নেতার খোঁজ শুরু বিচ্ছিনতাবাদীদের। বর্তমানে খলিস্তানিদের একমাত্র 'মুখ' হল গুরপতবন্ত সিং পান্নুন। তবে পান্নুন ছাড়া আরও কিছু 'মুখ' তুলে ধরতে চাইছে খলিস্তানপন্থীরা। এমনই দাবি করা হল রিপোর্টে।
1/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, সাম্প্রতিককালে খলিস্থানপন্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। এই আবহে অনেক খলিস্তানপন্থী হিংসাত্মক বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরিপন্থী হয়ে পড়েছে। আমেরিকা, কানাডার মতো দেশে ভারতীয় দূতাবাস বা কূটনীতিকদের সামনে হিংসাত্মক বিক্ষোভ প্রদর্শন নিয়ে গুটিকয়েকজনই সহমত পোষণ করছে। এরই মাঝে পাক মতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি খলিস্থানিদের মধ্যে থেকে নয়া 'মুখ' তুলে ধরার ছক কষেছে।
2/5 ব্রিটেন এবং কানাডায় বিগত কয়েক মাসে খলিস্তানি গতিবিধি বেড়েছে। এই দেশগুলিতে খলিস্তানি আন্দোলনকে আরও জোরদার করছে পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি। তবে টরোন্টো এবং সারেতে সাম্প্রতিককালের বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাঝেই খলিস্তানিদের মধ্যে মনোমালিন্য স্পষ্ট হয়েছিল বলে দাবি গোয়েন্দা রিপোর্টে।
3/5 এই আবহে পশ্চিমী দেশগুলিতে দূতাবাসের বাইরে ভারত বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন নিয়ে কূটনীতিক পর্যায়ে সতর্কবার্তা পাঠানো গয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের তরফ থেকে। এদিকে খলিস্থানপন্থীরা মানবপাচারের সঙ্গেও যুক্ত বলে উঠে আসছে এই রিপোর্টে। বিশেষ করে কানাডায় বেআইনি ভাবে মানবপাচার জারি রেখেছে খলিস্থানিরা। ভারত এই নিয়ে বারবার সতর্ক করলেও কানাডার সরকার কোনও হেলদোল দেখাচ্ছে না এই নিয়ে।
4/5 এদিকে খলিস্তানি নেতৃত্বের মধ্যে সংঘাত দেখা দেওয়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হিংসার আকার ধারণ করছে। কানাডায় হরদীপ সিং নিজ্জরের মতো হত্যাকাণ্ড এর জেরেই ঘটছে বলে দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। এদিকে ২০২২ সালে ভারত সমর্থক শিখ নেতা রিপুদমন সিং মালিককে খুনের অভিযোগ উঠেছিল নিজ্জরের বিরুদ্ধে। ভারত এই নিয়ে কানাডা সরকারের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিল। তবে তা নিয়ে কানাডা কোনও পদক্ষেপ করেনি। উলটে নিজ্জর হত্যার পর ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিল ট্রুডো সরকার।
5/5 বিদেশের মাটিতে, বিশেষ করে কানাডায় পঞ্জাবি গ্যাংয়ের সক্রিয়তা নিয়ে ভারত সরকার বারবার সতর্ক করেছে কানাডাকে। তবে তা সত্ত্বেও খলিস্তানিদের 'রাজনৈতিক' আখ্যা দিয়ে এই নিয়ে চুপ করে বসে থেকেছে কানাডা সরকার। তবে ২০১৬ সালের পর থেকে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এক দলের হাতে খুন হচ্ছে অন্য দলের খলিস্তানি নেতারাই। আর সুযোগ বুঝে রাজনৈতিক কারণে সেই সব হত্যাকাণ্ডের দায় ভারতের ওপরে চাপানোর চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি চলছে নয়া নেতার খোঁজ।