সুস্থ জীবন পেতে গেলে খাবার যেমন জরুরি, তার চেয়েও বেশি জরুরি সঠিক খাওয়ার খাওয়া। অনেকে মনে করেন কম খেলে মেদ জমে না। কিন্তু এই ধারণা একদমই ভুল। বরং ঠিক পরিমাণ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার খেলে সহজে মেদ কমানো যায়। এমনই এক খাবার হল ওটস। এটি স্বাদেও যেমন ভালো তেমন হজমও সহজে হয়।
মেদ আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। মেদ নানা রোগের কারণ। আমরা নানা উপায়ে চেষ্টা করি মেদ কমানোর। এমন কিছু খাবার আছে যা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।আসুন দেখে নিই এমনই এক ওটসের রেসিপি।
ব্রেকফাস্টে রাখতে হবে পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার। আর তা যদি হয় ওটস তাহলে তো কথাই নেই। ওটস হল প্রোটিনে ভরপুর। ভিটামিন ও পুষ্টিযুক্ত খাবার রোগ প্রতিরোধ করে। শরীর থেকে চর্বি কমায়। বর্তমানে খাদ্যতালিকায় ওটসের চাহিদা বহুগুণে বেড়েছে। কেন জানেন?
ওটসের উপকারিতা
ওটসে আছে আ্যমিনো আ্যাসিড, লাইসিন, লিউসিন, মেথিওনিন সহ সাতটি আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত উপাদান। এইচডিএল যা খারাপ কোলেস্টেরল তার মাত্রা কমায় ওটস। এছাড়া হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। এর আ্যন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। হজম শক্তি বৃদ্ধি ও ট্রেস কমাতে এর জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও যাঁরা ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, এবং উচ্চরক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য কিন্তু ওটস খুব ভালো।
ওটস ত্বকের জন্য খুব উপকারী। ওটস পুষ্টিকর এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বককে সুন্দর করে তোলে। ওটসের মধ্যে থাকা ফাইবার ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁদের জন্য ওটসের এই রেসিপি হল আদর্শ রেসিপি। তাই আজই ব্রেকফাস্টে বানিয়ে ফেলুন ওটসের এই রেসিপি--
উপকরণ
আধা কাপ জলে কয়েক টেবিল চামচ ওটসের বীজ ভিজিয়ে রাখুন।
স্বাদে এক চিমটি দারুচিনি এবং ভ্যানিলা।
প্রস্তুতি
প্রথমে, আপনার ওটসের বীজগুলিকে নরম করতে ভিজিয়ে রাখুন। এক গ্লাস জল ১৫ বা ২০ মিনিটের জন্য সেদ্ধ হতে দিন। একটি ছোট পাত্রে জল গরম করুন। একবার ফুটতে শুরু করলে, আঁচ কমিয়ে দিন এবং ওটস মেশান।
৫ মিনিটের জন্য আঁচে রান্না করুন, মাঝে মাঝে নাড়ুন।
বাটিতে পরিবেশন করুন এবং ওটস বীজ (যা জল দিয়ে জেল তৈরি করেছে) এবং স্বাদ মতো চিনি এবং ভ্যানিলা দিয়ে পরিবেশন করুন।