আজ ভারতের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার সংযোগ রয়েছে। কিন্তু আমরা অনেকেই গ্যাস সিলিন্ডার সম্পর্কিত উপভোক্তা অধিকার সম্পর্কে সচেতন নই। আদতে গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগ সম্পর্কিত অধিকার সম্পর্কে বলা গ্যাস ডিলারদের দায়িত্ব। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সময় ডিলাররা তা জানান না। এজন্য গ্রাহকদের নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
1/5 যারা এলপিজি গ্যাস সংযোগ নেন তাদের ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিমা করা হয়। এই পলিসিকে বলা হয় এলপিজি বিমা কভার। গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে যেকোনও ধরনের দুর্ঘটনায় জানমালের ক্ষতির হলে বিমা দেওয়া হয়। আপনি গ্যাস সংযোগ পাওয়ার সাথে সাথে এই বিমা পলিসির ধারক হবেন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
2/5 আপনি যখনই নতুন সিলিন্ডার নিচ্ছে, আপনার উচিত সেই সিলিন্ডারের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ দেখে নেওয়া। কারণ এই বিমা সিলিন্ডারের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের সঙ্গে যুক্ত। গ্যাস সংযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আপনি ৪০ লাখ টাকার দুর্ঘটনাজনিত বিমা পাবেন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
3/5 সিলিন্ডার বিস্ফোরণে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে বিমা বাবদ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত দাবি করতে পারেন মৃত ব্যক্তির নিকটাত্মীয়। এর জন্য আপনাকে কোনও অতিরিক্ত মাসিক প্রিমিয়ামও দিতে হবে না। গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা ঘটলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা বিমার টাকা দাবি করতে পারেন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
4/5 গ্রাহককে দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে ডিস্ট্রিবিউটর এবং নিকটস্থ থানায় দুর্ঘটনার রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশের কাছ থেকে দুর্ঘটনার এফআইআর-এর কপি নেওয়া দরকার। বিমার টাকা দাবি করার জন্য থানায় নথিভুক্ত এফআইআর-এর প্রতিলিপির পাশাপাশি মেডিকেল রসিদ, হাসপাতালের বিল, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট এবং মৃত্যু শংসাপত্রও প্রয়োজন।
5/5 মনে রাখবেন যে যার নামে সিলিন্ডারটি রয়েছে শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিই বিমার আওতায়। তবে আপনি এই বিমা স্কিমে কাউকে মনোনীত করতে পারবেন না। এই বিমার সুবিধা কেবলমাত্র তারাই পাবেন যাদের নামে সিলিন্ডারের পাইপ, চুলা এবং রেগুলেটরে আইএসআই মার্ক থাকে। বিমার টাকার দাবির জানাতে আপনার সিলিন্ডার এবং চুলার নিয়মিত চেকআপ করানো উচিত। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)