ঘরোয়া রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের ওজন হওয়া উচিত ১৪.২ কেজি। তবে বারাসতে অভিযোগ ওঠে, বাড়িতে আসা রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের ওজন ১২ কেজি। এই আবহে প্রশ্ন উঠেছে কেন রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের ওজন ২ কেজি কম? এই নিয়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন অনেকে। এদিকে সিলিন্ডারের ওজন কম থাকার বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
1/5অভিযোগ ওঠে, গ্যাস সিলিন্ডারের ওজন ১৪.২ কেজি হওয়ার কথা থাকলেও বারাসতের কালীকৃষ্ণ স্কুলের সামনে চাঁদের বিল ও ১১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় গ্রাহকদের যে সিলিন্ডার দেওয়া হচ্ছে তার ওজন ২ কেজি কম। অর্থাৎ, এই এলাকায় ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডার দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। এই নিয়েই স্বভাবত ক্ষুব্ধ আম জনতা। গ্যাস সিলিন্ডারের ওজন কম থাকা নিয়ে প্রতিবাদও জানানো হয়েছে এলাকাবাসীর তরফ থেকে।
2/5জানা গিয়েছে, সোমবার বারাসতের ১১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ওজন করতে হলে দেখা যায়, সেটি ১২ কেজির। পরে সেই সিলিন্ডার ডেলিভারি ম্যানের ভ্যানে রাখা সকল গ্যাস সিলিন্ডারের ওজন দেখা হয়। দেখা যায়, ভ্যানে থাকা সবকটি সিলিন্ডারের ওডজনই ১২ কেজি। সেই ডেলিভারি ম্যান কালীকৃষ্ণ স্কুলের সামনে চাঁদের বিল ও ১১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় সিলিন্ডার বিলি করার দায়িত্বে ছিলেন। সিনিন্ডারের ওজনে গরমিল দেখেতে পেয়ে তাই এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
3/5বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, ১০৭৯ টাকা দিয়ে সিলিন্ডার কিনে ২ কেজি কম গ্যাস পাওয়ার বিষয়টি মেনে নেওয়া হবে না। এই আবহে গ্যাস সিলিন্ডারের ওজনে গরমিলের বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে বারাসত থানায়। ডেকে পাঠানো হয় গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার ম্যানেজারকে।
4/5উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি সিলিন্ডার ডেলিভারি ম্যানের কাছে ওজন মাপার মেশিন থাকা বাধ্যতামূলক। সন্দেহ হলেই গ্যাস সিলিন্ডারের ওজন করিয়ে নেওয়া উচিত সেই মেশিনে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে, গ্যাস বিলি করতে আসা কর্মীর কাছে ওজন করার যন্ত্র নেই। তবে নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠলে ডিলারের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে।
5/5সরকারি নিয়ম বলছে, গ্রাহকরা চাইলে সিলিন্ডার ওজন করেই সরবরাহ করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে সন্দেহ হোক কি না হোক, গ্যাস সিলিন্ডার নেওয়ার সময় তার ওজন যাচাই করে নেওয়াই ভালো। কারণ অতীতেও বিভিন্ন জায়গায় সিলিন্ডারে কম গ্যাস থাকার অভিযোগ উঠেছে বহু বার।