বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > M. S. Swaminathan: বাংলার দুর্ভিক্ষ তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, 'সবুজ বিপ্লবের জনক’ স্বামীনাথনের জীবনসফর একনজরে
M. S. Swaminathan: বাংলার দুর্ভিক্ষ তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, 'সবুজ বিপ্লবের জনক’ স্বামীনাথনের জীবনসফর একনজরে Updated: 28 Sep 2023, 04:37 PM IST Sritama Mitra তাঁর উচ্চশিক্ষা শুরু হয়, কেরলে, জুলজির হাত ধরে। পরবর্তীতে তিনি মাদ্রাজ, দিল্লি ও আরও পরে নেদারল্যান্ডস, ইউকে, আমেরিকা থেকে একের পর এক ডিগ্রি সঞ্চয় করেন ও উচ্চশিক্ষা এগিয়ে নিয়ে যান। 1/5 স্বাধীনতার পর একটা বড় সময়কালে ভারতের খাদ্য শস্যের সংকটের জেরে মানুষের মুখে ভাত তুলে দিতে দেশকে নির্ভর করতে হত বিদেশি রাষ্ট্রগুলির উপর। সেই নির্ভরতা কমানোর ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন দেশের ‘সবুজ বিপ্লবের জনক’ এম এস স্বামীনাথন। ম্যাগসাইসাই সমেত একাধিক বড় পুরস্কারে ভূষিত এই কৃষিবিজ্ঞানী এদিন চেন্নাইতে ৯৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর জীবনের কিছু অজানা দিক একনজরে দেখে নেওয়া যাক। 2/5 ১৯২৫ সালের ৭ আগস্ট মাদ্রাজের কুম্ভকোনমে জন্ম স্বামীনাথনের। ১১ বছর বয়সে হারিয়েছেন বাবাকে। জেনারেল সার্জেন এমকে সাম্বসিবনের ছেলে স্বামীনাথন ১৫ বছর বয়সে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। তাঁর উচ্চশিক্ষা শুরু হয় জুলজির হাত ধরে কেরলে। পরবর্তীতে তিনি মাদ্রাজ, দিল্লি ও আরও পরে নেদারল্যান্ডস, ইউকে, আমেরিকা থেকে একের পর এক ডিগ্রি সঞ্চয় করেন ও উচ্চশিক্ষা এগিয়ে নিয়ে যান। 3/5 বিদেশে পড়াশোনায় একটা বড় সময় কাটালেও স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত স্বামীনাথনকে নাড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষ। দেশের মানুষের মুখে খাবার যোগাতে তিনি কৃষি গবেষণায় মন দেন। উন্নত বীজ, জলসেচের মাধ্যমে দেশের পশ্চিম অংশ, মূলত পাঞ্জাবে তিনি আমূল পরিবর্তন আনেন। তাঁর হাত ধরে দেশ এক নতুন সূর্যোদয় দেখে কৃষিক্ষেত্রে। তিনিই হয়ে ওঠেন দেশের সবুদ বিপ্লবের জনক। দেশকে কৃষিক্ষেত্রে স্বয়ং সম্পূর্ণ করায় কার্যত তিনি ব্রতী ছিলেন। সবচেয়ে বেশিউচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ফলনের বাসমতি চাল তাঁর হাত ধরেই আসে। 4/5 ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল পদে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন স্বামীনাথন। একটা সময় কৃষি গবেষণা এবং শিক্ষা দফতরের সচিবও ছিলেন তিনি। ২০০৭ ও ২০১৩ সালে তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালে রমন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারে সম্মানিত হন তিনি। পেয়েছেন পদ্মশী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণ। ১৯৮৬ সালে পেয়েছেন অ্যালবার্ট আইস্টাইন অ্যাওয়ার্ড। টাইম ম্যাগাজিনে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ২০ জন ব্যক্তিত্বের তালিকায় তিনিও ছিলেন। 5/5 ব্যক্তিগত জীবনের দিতে তাকালে এম এস স্বামীনাথনের পরিবারের কথা উঠে আসে। কেমব্রিজে পড়ার সময় তাঁর আলাপ হয় মীনার সঙ্গে ১৯৫১ সালে মীনা স্বামীনাথনের সঙ্গে ঘর বাঁধেন এমএস স্বামীনাথন। মেয়ে মধুরা স্বামীনাথন অর্থনীতিবিদ, নিত্যা স্বামীনাথন রয়েছেন গ্রামোন্নয়নের সঙ্গে জড়িত ও সৌম্য স্বামীনাথন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও পেডিয়াট্রিশিয়ান।