বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Maldives-India Relation Latest Updates: 'ওরা পরম বন্ধু', ভারত বন্দনায় মুইজ্জু, পকেটে টান পড়তেই নয়া আবদার মলদ্বীপের
Maldives-India Relation Latest Updates: 'ওরা পরম বন্ধু', ভারত বন্দনায় মুইজ্জু, পকেটে টান পড়তেই নয়া আবদার মলদ্বীপের Updated: 23 Mar 2024, 07:19 AM IST Abhijit Chowdhury মহম্মদ মুইজ্জু মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই দিল্লি এবং মালের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। মলদ্বীপে নিযুক্ত ভারতের গুটিকয়েক সেনাকর্মীকে সরানো নিয়ে অনড় থেকেছেন মুইজ্জু। এরই মাঝে এবার ভারতকেই 'পরম বন্ধু' আখ্যা দিয়ে নয়া আবদার জুড়ে দিল মলদ্বীপ। 1/5 ভারত বিরোধী প্রচারের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছেন মহম্মদ মুইজ্জু। তবে তাঁর সেই ভারত বিরোধী মনোভাব সমালোচিত হয়েছে মলদ্বীপেই। এরই মাঝে চিনপন্থী মুইজ্জু চিন সফরে গিয়েছেন। পরে চিনা আধিকারিকরা মলদ্বীপে এসে প্রতিরক্ষা চুক্তিও করেছেন। এই সবের মাঝেই এখন ফের একবার দিল্লির কথা মনে পড়ল মুইজ্জুর। 2/5 গতবছরের মধ্যে ভারতকে ৪০০.৯ মিলিয়ন ডলার ঋণ ফেরানোর কথা ছিল মলদ্বীপের। তার আগে নভেম্বরেই মলদ্বীপের মসনদে বসেছিলেন মহম্মদ মুইজ্জু। এরপরে আর ভারতের ঋণ শোধ করেনি মালে। এরই মাঝে ভারতের সেনাকে মলদ্বীপের মাটি থেকে সরানোর দাবিতে সুর চড়ান মুইজ্জু। ভারতও মালে সঙ্গে বৈঠকে বসে সেনা সরানোর কথা মেনে নেয়। আর তার মাঝে চিনা গুপ্তচর জাহাজ গিয়ে মলদ্বীপের বন্দরে নোঙর ফেলেছিল। 3/5 ভারতের প্রতি পদে পদে এহেন বিরূপ মনোভাব পোষণ করা মুইজ্জু প্রশাসনই এখন ভারতের কাছ থেকে 'সাহায্য' চাইছে। মুইজ্জু প্রশাসন এখন দিল্লির কাছে দাবি জানিয়েছে যাতে তাদের ঋণ শোধ করার ক্ষেত্রে আরও কিছু সময় দেওয়া হয়। এদিকে শুধু তাই নয়, স্থানীয় মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারত বন্দনা শোনা গিয়েছে মুইজ্জুর গলায়। 4/5 এই বিষয়ে মুইজ্জু বলেন, মলদ্বীপকে সাহায্য করতে এবং সেই দেশে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ভারত অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সেদেশে ইতিমধ্যেই ভারত বহু প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে ইতিমধ্যেই। এই আবহে ভারত সবসময়ই মলদ্বীপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে থাকবে। যদিও কয়েক মাস আগেই ভোট প্রচারে মুইজ্জুর গলায় শোনা গিয়েছিল অন্য সুর। এমনকী সরকারে বসেও ভরতের প্রতি কঠোর মনোভাব দেখিয়েছিলেন মুইজ্জু। তবে এই প্রথম ভারতের প্রতি নমনীয়তা দেখালেন মুইজ্জু। 5/5 মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু আরও বলেন, 'আমাদের আগের সরকার অনেক ঋণ নিয়ে বসেছিল। আমরা সরকারে এসে দেখছি, ভারতের থেকে আমরা বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছিলাম। তাই এখন সেই ঋণ শোধ নিয়ে কিছুটা সময় চাইছি ভারতের থেকে। তবে এরই মধ্যে ভারত যাতে তাদের অন্যান্য প্রকল্প এই দেশে চালিয়ে যায়, তারও আবেদন করেছি আমরা। এই নিয়ে আলোচনা চলছে। তাই ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না।'