মলদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর রাজনৈতিক মতাদর্শের অনেকটা জুড়ে রয়েছে 'ভারত বিরোধিতা'। চিন ঘেঁষা এই রাজনীতিবিদের প্রচারের স্লোগান ছিল 'ইন্ডিয়া আউট'। সেদেশে ভারতের যে গুটিকয়েক জওয়ান ছিল, তাদের সরানোর দাবি করেছিলেন তিনি। ভারত সেই মতো জওয়ানদের সরাচ্ছেও।
1/5 নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনে জিতে গদিতে বসার পরে বারবার মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সরানোর দাবি জানিয়েছিলেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। সেই বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে মলদ্বীপের। পরে মালে এবং দিল্লিতে ঐক্যমতে আসে এবং ভারত সেখান থেকে জওয়ান সরিয়ে নিয়ে সাদা পোশাকের টেকনিশিয়ান মোতায়েন করেছে।
2/5 তবে কোন সমীকরণ বা বোঝাপড়ায় ভারত জওয়ানদের মলদ্বীপ থেকে সরাতে সম্মত হয়েছে? এই প্রশ্ন উঠতেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন মুইজ্জু। এর আগে মলদ্বীপের সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছিল যে ভারতীয় জওয়ানরা বেশ কয়েক দেফায় সেই দেশ ছাড়বে। তবে কেন ভারত সেই দাবি মেনে নিল, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুইজ্জু সরকার সাফ জানিয়ে দিল, কোন বোঝাপড়ার মাধ্যমে ভারত-মলদ্বীপ একমত হয়েছে, তা তারা জনসমক্ষে বলবে না।
3/5 প্রসঙ্গত, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্য বা অসুস্থদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্যে ভারতের তরফ থেকে দু'টি হেলিকপ্টার এবং একটি ডর্নিয়ার বিমান দেওয়া হয়েছিল মলদ্বীপকে। সেই তিন বায়ুযান পরিচালনার জন্যেই ৮৮ জন ভারতীয় জওয়ান মলদ্বীপে মোতায়েন ছিলেন। তবে কয়েকিন আগে এর জরুরি পরিস্থিতিতে মলদ্বীপের সরকার ভারতীয় বিমান ব্যবহার করতে অস্বীকার করেছিল। এর জেরে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল মলদ্বীপে। এই আবহে চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল মুইজ্জু সরকারকে।
4/5 এর আগে মলদ্বীপের এক সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছিল, গত ১০ মার্চ মলদ্বীপে মোতায়েন থাকা ২৫ জন ভারতীয় সেনাকর্মী সেই দেশ ছেড়েছে। তারা মলদ্বীপের সবচেয়ে দক্ষিণে অবস্থিত আদ্দু অ্যাটলে মোতায়েন ছিলেন। এর আগে মুইজ্জু ঘোষণা করেছিলেন, মার্চেই ভারতকে তাদের জওয়ানদের সরাতে হবে। তবে দুই দেশের বৈঠকের পর মলদ্বীপ দাবি করে, দিল্লি নাকি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আগামী মে মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই ভারতীয় জওয়ানদের সেই দেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
5/5 পরে ভারত সিদ্ধান্ত নেয়, মলদ্বীপে তাদের দুই হেলিকপ্টার এবং ডর্নিয়ার বিমান পরিচালনার জন্যে সেনা জওয়ানদের বদলে সাধারণ নাগরিকদের মোতায়েন করা হবে। প্রসঙ্গত, মলদ্বীপবাসীর সাহায্যের জন্যেই সেদেশে ছিল ভারতীয় জওয়ানরা। তবে মুইজ্জুর তাতেই আপত্তি ছিল। নিজের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এটিকেই ইস্যু করে জয়ী হয়েছিলেন মুইজ্জু। এপ্রিলে আসন্ন মলদ্বীপের সংসদ নির্বাচনেও এই ইস্যুকে হাতিয়ার করতে চান মুইজ্জু।