বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > ভিক্টোরিয়ায় ডেকে 'আমায় টিজ করল, নেতাজি নেতাজি করলে স্যালুট করতাম' : মমতা
ভিক্টোরিয়ায় ডেকে 'আমায় টিজ করল, নেতাজি নেতাজি করলে স্যালুট করতাম' : মমতা Updated: 25 Jan 2021, 05:02 PM IST Ayan Das ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ‘অপমানিত’ হওয়ার পর প্রথম জনসভায় বিজেপিকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়লেন না। বরং বাঙালির সংস্কৃতিকে অপমানের অভিযোগে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানালেন। একইসঙ্গে দলত্যাগী নেতাদেরও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না। জানালেন, ‘ট্রেন’-এ দাঁড়িয়ে আছে। হুগলির পুরশুড়ার জনসভায় আর কী কী বললেন মমতা, দেখে নিন একনজরে - 1/9 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন পাবেন, এরকম নয় যে ওই বিজেপির মতো প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিথ্যা কথা বলছি যে সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা জমা দেওয়া হবে। তারপরে ভোঁ ভা। বিজেপি বাই বাই। বিজেপি ভোঁ ভা। দেখা নেই। পালিয়ে যা, পালিয়ে যা। (ফাইল ছবি, সৌজন্য এএনআই) 2/9 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : বিনামূল্যে রেশন আমরা দিচ্ছি, দেব। কারণ আমরা থাকছি, আমরাই থাকব। বিজেপি কেন? অনেক সময় মা-বোনেরা গান গেয়ে থাকেন, হরে কৃষ্ণ হরে রাম। আমি বলি, হরে কৃষ্ণ হরে রাম, বিদায় যাও বিজেপি-বাম। হরে কৃষ্ণ হরে হরে, তৃণমূল ঘরে ঘরে। মনে রাখবেন, তৃণমূল ঘরে ঘরে কাজ করবে। কেউ যদি ভুলভ্রান্তি করে, তাহলে দল তাঁকে শাসন করবে। দল শৃঙ্খলাবদ্ধ। এ দল কাউকে রেয়াত করে না। (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই) 3/9 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : দু'একজন দেখতে পাচ্ছেন না, পালিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে, অনেক টাকা করেছে। ভাবছে, কোথায় রাখব। বিজেপির কাছে রাখি। বিজেপি হচ্ছে একটা ওয়াশিং মেশিন। ওয়াশিং মেশিন ভাজপা, ওয়াশিং মেশিন বিজেপি। চোরগুলো যাচ্ছে, ওয়াশিং মেশিনে চান হচ্ছে, আর করলেই সানলাইটে সাদা হয়ে যাচ্ছে। বুঝলেন কিছু? যাঁদের অনেক টাকা আছে এবং যাঁদের অনেক টাকা গচ্ছিত আছে, তাঁদের জন্য বিজেপি। কালো টাকাকে সাদা করার জন্য কেউ কেউ লোভী আছে। কেউ কেউ ভোগী আছে। ভাবছে, বিজেপিতে গিয়ে নাম লেখাও। আমি বলছি, ভালো করে লেখাও। এরপর আর তৃণমূলে আসার চেষ্টা করবে না। আমরা তোমাদের নেব না। কাকে কাকে নিতে হয়, সেটা আমরা জানি, সম্মানীয় লোকেদের নেব। কিন্তু তোমাদের মতো এঁচোড়, মানে ইঁচোর, মানে এই চোর, মানে এঁচোড়ে পাকা, এই চোর - তাঁদের আমরা নেব না। যাঁরা যাঁরা লাইন দিয়ে আছেন, বলব তাড়াতাড়ি চলে যান, ট্রেন ছেড়ে দেবেন। তাড়াতাড়ি যান। ওদের পায়ে গিয়ে পড়ুন। বাংলা আপনাদের চায় না, তৃণমূল আপনাদের চায় না। আর কোনও যায় আসে না। (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই) 4/9 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : আপনারা কি আমাকে বাড়িতে খেতে ডেকে বলবেন, তোমাকে এক থাপ্পড় মারব বেরিয়ে যাও বাড়ি থেকে? বলবেন কখনও? এটা আমাদের রীতি, সৌজন্যতা, ভদ্রতা নয়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আমাদের সবার নেতা। সারা দেশের, সারা বিশ্বের নেতা তিনি। তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গেলাম। আর এত বড় সাহস যে কয়েকটা উগ্র ধর্মান্ধ গদ্দার আমাকে টিজ করল। তাও দেশের প্রধানমন্ত্রীর সামনে! তোমরা যদি নেতাজি নেতাজি করতে আমি তোমাদের স্যালুট জানাতাম। ওরা আমায় চেনে না। আমায় যদি কোনও মা ঘরে বাসন মেজে দিতে বলে আমি মেজে দেব। এটা ছেলেমেয়ে সকলের কাজ। আমি ঘরের কাজ করতে ভালবাসি। কিন্তু আমাকে যদি কেউ বন্দুক দেখায় তা হলে আমি সিন্দুকে বন্দুক দেখাব। বন্দুক–ভরা সিন্দুক দেখাব। কিন্তু আমি বন্দুকে বিশ্বাস করি না, রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। রাজনীতি দিয়ে আমি এর জবাব দেবই।’ (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই) 5/9 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : বাংলাকে অপমান করেছে ওরা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে অপমান করেছে। এর আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করেছে বিজেপি। ওদের নেতা বলে গেছে কবিগুরুর জন্মস্থান নাকি শান্তিনিকেতন। আসলে তা জোড়াসাঁকো। শান্তিনিকেতনে তিনি বিশ্বভারতী তৈরি করেছিলেন। তার আগে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে বিজেপি। বিরসা মুন্ডার নামে অন্য লোকের গলায় মালা পরিয়েছ! (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই) 6/9 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : বাংলা কিন্তু হ্যাংলা নয়। বাংলা মাথা নত করে না। বাংলার সঙ্গে কারও তুলনা হয় না। (ছবি সৌজন্য পিটিআই) 7/9 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : আমি আপনাদের পাহারাদার। পাহারাদার আমি। আমায় যে কোনও দুঃসময় পাবেন। (ছবি সৌজন্য পিটিআই) 8/9 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : মায়েরা ঘরে রান্নাও করেন, আবার প্রয়োজন হাতা-খুন্তি নিয়ে বেরিয়েও পড়েন। কী মা-বোনেরা রেডি আছেন তো? বিজেপি যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, আর যদি টুকটাক বোমা-অস্ত্র নিয়ে বের হয়, বাইক নিয়ে লাল চুল আর কানে দুল নিয়ে বেরোয়, তাহলে আপনারা হাতা-খুন্তি নিয়ে ভালো করে রান্না করে দেবেন তো। ভালো করে দেবেন তো! (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই) 9/9 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : বাংলা থেকে বিজেপিকে একটা আসনও নয়। একেবারে করতে হবে খালি খালি খালি। (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই)