আজ থেকে দুই দিনের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন ডিএ আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীরা। এরই মাঝে এবার সুর নরম করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনের চেয়ারম্যান মানস ভুঁইয়া। একদিকে সরকারি কর্মীদের একাংশের কর্মবিরতির কর্মসূচির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে সরকার। অপরদিকে দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
1/5 এই আবহে মানস ভুঁইয়া বললেন, ডিএ নিয়ে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, সেটা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এর নেপথ্যে রয়েছে বামেরা। ষড়যন্ত্রে শামিল বিজেপি এবং কংগ্রেসও। সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে মানস ভুঁইয়া বলেন, 'আন্দোলনকারীরা অবস্থান প্রত্যাহার করুন। কাজে যোগ দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহানুভূতিশীল। তিনি সবটাই দেখবেন।'
2/5 রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, 'সরকারি কর্মচারীদের একটা অংশ অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। যাঁরা সরকার বা মুখ্যমন্ত্রীর উপরে বিষোদ্গার করছেন। দুই দিন পেন-ডাউন করে সরকারের বিরোধিতায় নামছেন তাঁরা। সরকারের বিরোধিতা মানে সরকারের কাজের বিরোধিতা। সরকারি কাজ থেকে দূরে থাকা। কাজ না হলে রাজ্যের মানুষ বঞ্চিত হবেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই অবস্থান তৈরি করা হচ্ছে।'
3/5 তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনের চেয়ারম্যান বলেন, 'পেন ডাউন অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক। বামেরা পিছন থেকে আন্দোলকারীদের মদত দিচ্ছেন, যা অত্যন্ত খারাপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও মনে করেন না, যে ডিএ দেওয়া হবে না। ডিএ দেবেন তিনি বলেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার অর্থনীতি অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে। এর পরেও ১০০ দিনের কাজের টাকা, নানা প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র সরকার। আমরা ডিএ দেব না কখনও বলিনি। অর্থনৈতিক সংস্থান হোক, নিশ্চই দেব।'
5/5 যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করা সরকারি কর্মচারী আইনি অধিকার। মহার্ঘ্য ভাতা তাঁদের বেতনের অংশ তাই তাঁরা সেই টাকা দাবি করতেই পারেন। এর আগে শনিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া ওই দু'দিন যাঁরা অফিসে আসবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে ওই দু'দিন 'ব্রেক ইন সার্ভিস' বলে বিবেচনা করা হবে।