বকেয়া ডিএ মেটানোর বিষয়ে সরকারের কোনও পদক্ষেপ নেই। এদিকে পুজোয় ক্লাবগুলোর অনুদান বাড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিটি ক্লাবকে এবছর ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলে ৬০ শতাংশ রিবেট। তবে বকেয়া ডিএ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে বেজায় চটেছেন বিরোধীরা। ক্ষিপ্ত সরকারি কর্মচারীরাও।
1/5 অনুদানের ঘোষণা করতেই বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘রোমান সাম্রাজ্যের মতো এখনকার স্বৈরতান্ত্রিকরাও প্রজাদের আমোদ, নেশায় ডুবিয়ে রাখে। এত লুঠ, এত বেকরি থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই এই আয়োজন। সেই সঙ্গে ধর্মীয় উৎসবকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতি।’
2/5 মহম্মদ সেলিমের আরও বক্তব্য, ‘বাংলায় এককালে যে ক্লাব সংস্কৃতি ছিল তা স্বনির্ভর ছিল। তবে বর্তমানে সর্বজনীন পুজোকে সরকার-নির্ভর করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সব খাতে এত খরচ হচ্ছে কিন্তু সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য ডিএ মেটানো হচ্ছে না সরকারের তরফে।’
3/5 এই প্রসঙ্গে সুর চড়িয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যে উন্নয়ন নেই। সঙ্গে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেওয়া হচ্ছে না। টাকার অভাবে হাসপাতালে ওষুধ নেই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও ক্লাবগুলোকে এই অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এই আবহে ক্লাবকর্তারা হাত তুলে নৃত্য করলে তাঁদের বাড়ির লোকেরাই নিন্দা করবেন। এই আবহে কোনও ক্লাবই তৃণমূল সরকারকে জনরোষ থেকে বাঁচাতে পারবে না।’
4/5 এদিকে বামপন্থী সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি আগামী ৩০ অগস্ট দুপুরে দু’ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করে প্রতিবাদ জানাবেন তাঁরা।
5/5 কর্মী সংগঠনের নেতা বিজয়শঙ্কর সিংহ বলেন, ‘সরকার তো উৎসব, মোচ্ছব, ফূর্তি আর কার্নিভাল করে চলেছে। এই সিদ্ধান্ত সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থের বিরোধী। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা বড়সড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’