বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > NEP 2020: নয়া মূল্যায়ন প্রক্রিয়া, ই-লার্নিং - এবার থেকে স্কুলে কী কী নয়া নিয়ম শুরু হচ্ছে?
NEP 2020: নয়া মূল্যায়ন প্রক্রিয়া, ই-লার্নিং - এবার থেকে স্কুলে কী কী নয়া নিয়ম শুরু হচ্ছে? Updated: 30 Jul 2020, 03:57 PM IST Ayan Das নয়া শিক্ষানীতিতে স্কুলশিক্ষায় আমূল সংস্কারের পথে হাঁটল কেন্দ্র। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার পুরো কাঠামোই কার্যত পালটে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নয়া শিক্ষানীতির আওতায় স্কুলশিক্ষায় কী কী নীতি নেওয়া হল, দেখে নিন একনজরে - 1/9 প্রথম শ্রেণিতে ভরতির আগে তিন বছরের প্রাক-স্কুল শিক্ষা হবে। আর স্কুলজীবন হবে ১২ বছরের। সেটিকে ৫+৩+৩+৪ ব্যবস্থায় ভাঙা হয়েছে। নয়া ব্যবস্থায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সঙ্গে সেই তিন বছর মিলিয়ে মোট পাঁচ বছরের ভিত তৈরি করা হবে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম পর্যন্ত প্রস্তুতি পর্ব হিসেবে পরিচিত হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হবে মাঝারি পর্বের শিক্ষা। শেষ পর্যায়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি মাধ্যমিক শিক্ষা হিসেবে পরিচিত হবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই) 2/9 নয়া শিক্ষা ব্যবস্থায় তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বিশেষ পরীক্ষা হবে। একইসঙ্গে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা চালু থাকবে। তবে তা 'সহজতর' করা হচ্ছে। বোর্ড পরীক্ষায় মুখস্থবিদ্যার পরিবর্তে প্রয়োগযোগ্য শিক্ষা, দক্ষতা, পারদর্শিতার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য এএনআই) 3/9 ধীরে ধীরে বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষার ‘সুবিধাজনক’ মডেল তৈরি করতে পারে সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলি। যেমন - বার্ষিক বা সেমেস্টার বা মডিউলার বোর্ড পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। অথবা সেই মডেলের সব বিষয় থাকবে এবং শুরু হবে অঙ্ক দিয়ে। দুটি স্তরে দু'ভাগে পরীক্ষা নেওয়া হবে - অবজেকটিভ বা ছোটো প্রশ্ন এবং ব্যাখ্যামূলক বা বড়ো প্রশ্নের ধাঁচে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই) 4/9 যেখানে সম্ভব, সেখানে কমপক্ষে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠনের মাধ্যম হবে ঘরের ভাষা, মাতৃভাষা, স্থানীয় ভাষা এবং আঞ্চলিক ভাষা। তা অষ্টম শ্রেণি বা তার পর্যন্ত হলে ভালো হয়। সেইমতো যেখানে সম্ভব, সেখানে ঘরের বা স্থানীয় ভাষায় পঠনপাঠন চালিয়ে যেতে হবে। তা সরকারি ও বেসরকারি উভয় স্কুলই অনুসরণ করবে। তবে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ইংরেজিতে পড়ানোর ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই) 5/9 কলা, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান শাখার মধ্যে কোনও বাঁধাধরা বিভাজন রাখা হয়নি। শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী একাধিক শাখার অধীনস্থ বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন। অর্থাৎ একইসঙ্গে কলা বিভাগের বিষয়ের পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিজ্ঞান শাখার বিষয় নিয়েও পড়তে পারবেন। পাঠ্যসূচিতে ইচ্ছে মতো রাখা যাবে ক্রীড়া ও বৃত্তিমূলক বিষয়ও। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই) 6/9 মুখস্থবিদ্যার পরিবর্তে প্রয়োগযোগ্য শিক্ষা, দক্ষতা, পারদর্শিতার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে। জোর দেওয়া হচ্ছে মৌলিক চিন্তাধারার উপর। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য এএনআই) 7/9 ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই কোডিং শেখানো হবে। স্কুলশিক্ষা সচিব বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতার অংশ হিসেবে স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে পড়ুয়াদের কোডিং শেখানো হবে।’ (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই) 8/9 ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ভোকেশনাল এডুকেশন চালু করা হবে। সেই ব্যবস্থার আওতায় স্কুলস্তরে ১০ দিনের ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য এএনআই) 9/9 ই-লার্নিংয়ের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ইংরেজি, হিন্দি-সহ আটটি আঞ্চলিক ভাষায় ই-কনটেন্ট মিলবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)