২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সংসদে নয়া শ্রমবিধি পাশ হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে কবে সেই শ্রমবিধি কার্যকর করা হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। গত অর্থবর্ষেই তা লাগু হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের পরে সেটা করা হতে পারে।
1/6 ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে চারটি নয়া শ্রমবিধি কার্যকর হতে পারে বলে জল্পনা চলছিল। যদিও সেই পথে হাঁটেনি কেন্দ্রীয় সরকার। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নয়া শ্রমবিধি কার্যকর করা নিয়ে গত অর্থবর্ষ থেকেই বিভিন্ন মহলের প্রতিনিধি এবং ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের বৈঠক করছিল কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওই আলোচনার প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
2/6 লোকসভা ভোটের আগে ভারতে চারটি নয়া শ্রমবিধি কার্যকর করা হবে না। একাধিক কারণে শ্রমবিধি কার্যকরের সময় পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চারটি শ্রমবিধি নিয়ে বিভিন্ন মহলের যে আলোচনা চলছিল, তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
3/6 নয়া শ্রমবিধিতে কী কী আছে? নয়া শ্রমবিধির আওতায় চাকরিজীবীদের ‘টেক হোম স্যালারি' (হাতে পাওয়ার বেতন) কমে যেতে পারে। কারণ সংস্থাগুলিকে প্রভিডেন্ট ফান্ডে (পিএফ) বেশি টাকা জমা করতে হবে। কর্মচারীরা যে বেতন পান, তার ৫০ শতাংশের বেশি হবে ‘বেসিক স্যালারি’। অর্থাৎ প্রভিডেন্ট ফান্ডে বেশি টাকা জমা পড়বে। স্বভাবতই টেক হোম স্যালারি’-র পরিমাণ কমতে পারে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
4/6 নয়া শ্রমবিধি কার্যকর হলে কর্মচারীদের মাসিক ভাতা (মাসিক অ্যালোয়েন্স) ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। সেটার মধ্যে মধ্যে ট্র্যাভেল অ্যালোয়েন্স, হাউজ রেন্ট, ওভারটাইমের মতো যাবতীয় ভাতা (অ্যালোয়েন্স) থাকবে। তার ফলে কর্মীদের সিটিসি বা ‘কস্ট টু কোম্পানি’-র (যে টাকায় চুক্তি হচ্ছে) কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
5/6 নয়া শ্রমবিধি অনুযায়ী, সপ্তাহে তিনদিন ছুটি পেতে পারেন কর্মচারীরা। দৈনিক কতক্ষণ কাজ করছেন, তার উপর নির্ভর করবে কর্মচারীরা সপ্তাহে তিনদিন ছুটি পাবেন কিনা। ন'ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টা শিফট করতে হতে পারে। কোনও কর্মী যদি দৈনিক ঘণ্টা কাজ করেন, তাহলে তাঁকে সপ্তাহে ছ'দিন কাজ করতে হবে। যাঁরা দৈনিক ১২ ঘণ্টা কাজ করবেন, তাঁরা সপ্তাহে তিনদিন ছুটি পাবেন। সেইসঙ্গে প্রতি পাঁচ ঘণ্টা একটানা কাজের পর ৩০ মিনিটের বিরতি নেওয়া যাবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)