খড়গপুর থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত চার লেনের ইকোনমিক করিডোর তৈরি করছে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। এটি বর্ধমান, মোরেগ্রাম হয়ে উত্তরবঙ্গে পৌঁছবে। এই ১১৬এ জাতীয় সড়কটি মোরেগ্রামে জাতীয় সড়ক নং ৩৪ এবং জাতীয় সড়ক নং ৬০-র সঙ্গে মিলবে। এরপর সেই সড়কটি শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাবে।
1/5 বাংলার অর্থনীতির জন্যে এই ১১৬এ নং জাতীয় সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই অর্থনৈতিক করিডোরটি ২০২৮ সালের মধ্যে স্পন্ন হবে বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রকল্পের খড়গপুর-মোরেগ্রাম অংশটি বাংলার ৬ জেলার ওপর দিয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের উদ্যোগে এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করবে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া।
2/5 সম্প্রতি এনএইচএআই এই প্রকল্প নিয়ে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে ইউটিউবে। সেখানেই দাবি করা হয়েছে, খড়গপুর থেকে মোরেগ্রাম পর্যন্ত ইকোনমিক করিডোর তৈরিতে মোট ১০২৪৭ কোটি টাকা খরচ করা হবে। এই রুটে জাতীয় সড়ক নং ১২-র মাধ্যমে ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি ও মোরেগ্রাম জুড়ে গিয়েছে। এই আবহে ১১৬এ নং জাতীয় সড়কের কাজ শেষ হলে তা জাতীয় সড়ক নং ১২-র সঙ্গে জুড়ে যাবে।
3/5 ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, খড়গপুর থেকে মোরেগ্রাম পর্যন্ত ২৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ ইকোনমিক করিডোরের পরিকল্পনা তৈরি হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে খড়গপুর থেকে মোরেগ্রাম পর্যন্ত দু'টি জাতীয় সড়ক আছে। জাতীয় সড়ক নং ৬০ ৩০৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং জাতীয় সড়ক নং ৬ ধরে গেলে ৩৪৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে।
4/5 এই আবহে জাতীয় সড়ক নং ১১৬এ-র কারণে খড়গপুর এবং মোরেগ্রামের দূরত্ব কমবে ১১২ কিলোমিটার। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া জানাল, এই জাতীয় সড়কের জন্য কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। এই জাতীয় সড়কটি পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে শুরু করে হুগলি, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম হয়ে মুর্শিদাবাদে গিয়ে জুড়বে।
5/5 এই ১১৬এ জাতীয় সড়ক ৫টি অন্য জাতীয় সড়ক এবং ৬টি রাজ্য সড়কের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এই প্রকল্পের জন্য ১০৯টি ব্রিজ, ১০৩টি আন্ডারপাস, ১৮টি ফ্লাইওভার, ৪টি রেল ওভার ব্রিজ এবং ৩টি ইন্টারচেঞ্জ নেটওয়ার্ক থাকবে। এই খড়গপুর-মোরেগ্রাম করিডোরের ফলে খড়গপুর থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাত্রার সময় কমবে প্রায় ৭ ঘণ্টা।