নতুন পেনশন স্কিমের বদলে পুরনো পেনশন স্কিম চালুর দাবি উঠেছে বিভিন্ন রাজ্যে। সরকারি কর্মীরা এই নিয়ে আন্দোলন করেছেন। কংগ্রেস শাসিত অনেক রাজ্যে পুরনো পেনশন স্কিম ফেরানো হয়েছে। এরই মধ্যে এনপিএস সংক্রান্ত একটি চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এল।
1/5নতুন পেনশন স্কিমে (এনপিএস) অবসর নেওয়া অনেক সরকারি কর্মচারী আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের চন্দ্রশেখর আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (সিএসএ) সিনিয়র সহকারী পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন কল্যাণ শরণ মিশ্র। এখন এনপিএস-এর অধীনে তিনি প্রতি মাসে মাত্র ১৪৫৯ টাকা পেনশন পাচ্ছেন। এমনকী অবসরের পর তাকে গ্র্যাচুইটি দিতে অস্বীকার করেছে বিভাগ। গত এক বছর ধরে দৌড়ঝাঁপ করলেও তাঁর কথা শোনা হচ্ছে না।
2/5জানা গিয়েছে, কল্যাণ শরণ মিশ্র ১৯৮০ সালে চন্দ্রশেখর আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলিতে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু তিনি সম্মানী ভাতা নিয়ে কাজ করছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও তাঁর নিয়োগ স্থায়ী করা যায়নি। তবে ২০১০ সালে কল্যাণ শরণ স্থায়ী হন। তখন সিনিয়র সহকারীর হিসেবে চাকরি করছেন তিনি। এরপর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এনপিএস-এর জন্য টাকা কাটা শুরু হয় তাঁর বেতন থেকে।
3/5এদিকে নিয়োগের তারিখ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে যে টাকা কল্যাণ মিশ্রর পাওয়ার কথা ছিল, তা তাঁর অ্যাকাউন্টেই জমা হয়েছিল। তবে তাঁর অংশের পুরো টাকা জমা পড়েনি। এরপর তিনি ২০২২ সালে অবসর নেন। তখন তিনি পেনশনের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। এরপরই অঙ্কের জটিলতার বিষয়টি তাঁর সামনে আসে। তিনি বলেন, নতুন পেনশনে আমাদের অংশের টাকা শুরু থেকেই কেটে রাখা হলে এ অবস্থা হত না।
4/5কল্যাণের অনুসারে, আমার থেকে কাটা এবং রাজ্যের থেকে পাওয়া মোট ৬.৮ লক্ষ টাকা হয়েছে। যার মধ্যে ৩.৮ লক্ষ টাকা আমাকে দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট অর্থ থেকে একটি নতুন পেনশন স্কিম করা হয়েছিল। যে টাকা জমা হয়েছে এবং যে এজেন্সিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা থেকে কোনও লাভ আসেনি। মাসে মাত্র ১৪৫৯ টাকা পেনশন পাচ্ছি তাই। যদি সবকিছু সময়মতো হত এবং সরকারের সম্পূর্ণ অংশও পেতাম তাহলে হয়ত ভালো পরিমাণ পেনশন পাওয়া যেত।
5/5কল্যাণবাবু জানান, বিভাগ তাঁকে গ্র্যাচুইটি পর্যন্ত দেয়নি। এর আগে উত্তরপ্রদেশের অনেক সরকারি স্কুলের শিক্ষকও এই একই সমস্যায় পড়েছেন। এই আবহে নতুন পেনশন প্রকল্পের শিক্ষক ও কর্মচারীদের হক আদায় করার জন্য আন্দোলনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই আবহে এনপিএস নিয়ে উত্তরপ্রদেশের সরকারি কর্মীদের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে।