মধ্যবিত্ত ভারতীয়রা কম বিনিয়োগে উচ্চ হারে রিটার্ন পেতে আগ্রহী। এই আবহে একটু একটু করে জমিয়েই ১ কোটি টাকার মালিক হতে পারেন আপনি। সরকারি পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে টাকা রাখলেই আপনি অনায়াসে কোটিপতি হতে পারেন।
1/5 পিপিএফ অ্যাকাউন্ট স্কিমে সুরক্ষার পাশাপাশি ভালো হারে রিটার্নও দিয়ে থাকে সরকার। এদিকে এই স্কিমে সুদের হার নিয়ে মাথা ব্যথার কোনও কারণ নেই। কারণ আমানতকারী যেই সুদের হারে আমানত শুরু করবেন, পর্বর্তীতে মেয়াদপূর্তির সময় পর্যন্ত সেই হারেই সুদ পাবেন। মাঝে সুদের হার কমে গেলেও তা তাঁর ওপর প্রভাব পড়বে না তাঁর ওপর।
2/5 যদি এই অ্যাকাউন্টে দৈনিক প্রায় ১৬৪ টাকা করে ৩৭ বছরের জন্য জমানো যায়, তাহলে মেয়াদপূর্তিতে আপনার কাছে থাকবে ১ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, এই স্কিমটির ন্যূনতম মেয়াদ ১৫ বছর। অবশ্য পাঁচ বছর করে মেয়াদ বাড়ানো যায় এই স্কিমের। এতে ৭.১ শতাংশ হারে বর্তমানে সুদ দেওয়া হচ্ছে। এই অ্যাকাউন্টে আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় কর ছাড়ের সুবিধাও রয়েছে।
3/5 আপনি যদি প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করেন, তাহলে ১৫ বছরে আপনার মোট গচ্ছিত অর্থ হবে ৯ লাখ টাকা। এর অর্থ, আপনি প্রতিদিন ১৬৪ টাকা করে জমাচ্ছেন। এই গচ্ছিত অর্থের ওপর আপনি ৭.১ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে (কম্পাউন্ড ইন্টারেস্ট) বার্ষিক সুদ সাথে চক্রবৃদ্ধির সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ, ১৫ বছর পর আপনার অ্যাকাউন্টে সুদ বাবদ জমা পড়বে ৭.২৭ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, ১৫ বছর পর আমনার অ্যাকাউন্টে মোট ১৬.২৭ লক্ষ টাকা থাকবে।
4/5 এরপর আপনি যদি আরও ২২ বছর ধরে পিপিএফ অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টে মোট ১.০৫ কোটি টাকা থাকবে। এই ক্ষেত্রে, আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ ২২.২০ লক্ষ টাকা। এদিকে সুদ বাবদ আপনি ৮৩.২৭ লক্ষ টাকা পাবেন। একই ভাবে ৩৭ বছর পর আপনার গচ্ছিত পরিমাণ হবে ১,০৫,৪৭,২৩২ কোটি টাকা।
5/5 পিপিএফ স্কিমে অবশ্য জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা যায় না। তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের নামে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। তবে সেই সময় সেই অ্যাকাউন্টটি অভিভাবক পরিচালনা করবেন। এছাড়া কোনও অনাবাসী ভারতীয় এই অ্যাকাউন্টের সুবিধা লাভ করতে পারবেন না।