আগামী কয়েকদিনে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আবির্ভাব ঘটবে কিনা, তা নিয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত ভাবে এখনও কিছু বলেনি হাওয়া অফিস। এদিকে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেও তা আদৌ বাংলার উপকূল ধেয়ে ছুটে আসবে কিনা, তারও ঠিক নেই। তবে আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রাখতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন।
1/5আজ থেকেই একটি বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হল লালবাজারে। ঝড় যদি বাংলায় আছড়ে পড়ে, তাহলে এই কন্ট্রোল রুম থেকেই বিভিন্ন দফতর একসঙ্গে কাজ করবে। ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা থাকবে। এই কন্ট্রোল রুম। এদিকে সব থানা ও ট্রাফিক গার্ডগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। যাতে দুর্যোগের কারণে প্রাণহানী না হয়, সেদিকে অগ্রাধিকার প্রশাসনের।
2/5এদিকে শুক্রবার সুন্দরবন ও সাগরের বিভিন্ন এলাকার নদী বাঁধ সরজমিনে খতিয়ে দেখেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। মন্ত্রী জানিয়ে দেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার। মন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ব্লক প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিতে মাটির নদী বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করে দিয়েছে সেচ দফতর।
3/5এর আগে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রিপল চুরি হয়েছে। ত্রাণ পেতে তাদের দিতে হয়েছে ঘুষ। ভেঙেছে বাঁধ। ডুবেছে গ্রাম, চাষজমি। তবে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। এই আবহে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বাড়তি তৎপরতা দেখা গিয়েছে শাসকদলের তরফ থেকে। এই আবহে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
4/5উপকূল তীরবর্তী এলাকার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। নবান্নেও মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল প্রশাসনিক কর্তাদের। দুর্যোগের আভাস পেতেই সতর্ক করা হয়েছে উপকূলবর্তী পর্যটনস্থলে যাওয়া পর্যটক ও মৎস্যজীবীদের। ত্রাণ শিবির প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। তবে মানুষজনকে এখনই সরানো হচ্ছে না। কারণ, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি সম্পর্কে বিশদ কোনও তথ্য দেয়নি হাওয়া অফিস।
5/5এদিকে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেছেন, 'ঘূর্ণিঝড় মোকার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ব্লক প্রশাসন। শুকনো খাবার মজুত রাখা হচ্ছে।' তবে তিনি আশঙ্কাবাণী শোনান, 'সাগরের বিভিন্ন এলাকায় নদীতে এখনও পর্যন্ত মাটির বাঁধ রয়েছে। গত বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের মনে হচ্ছে এই মাটির নদী বাঁধ আমাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না।' মাটির বাঁধ মেরামতির কাজ অবশ্য শুরু হয়েছে। তবে তা যদি মানুষকে রক্ষাই না করতে পারে, তাহলে এর লাভ কী? এই প্রশ্নের অবশ্য জবাব নেই।