নাগরিকদের সামাজিক সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ভারতীয় জনগণের জন্য সরকার অনেক প্রকল্প পরিচালনা করে। এই প্রকল্পগুলির অধীনে সরকার দরিদ্র লোকদের বিনামূল্যে বা কম খরচে রেশন সরবরাহ করছে কোভিড অতিমারি শুরুর পর থেকে। এই প্রকল্পের লাভ তুলতে রেশন কার্ড থাকা আবশ্যক। এর আগেও অবশ্য রেশন কার্ডের মাধ্যমে দরিদ্ররা সহজেই স্বল্পমূল্যে রেশন নিতে পারতেন। যে পরিবারের সদস্যদের নাম রেশন কার্ডে রয়েছে, তাঁরা সহজেই রেশন পান। তবে কিছু কাগজপত্রের ঘাটতির ক্ষেত্রে রেশন নিতে সমস্যা হতে পারে। আর তাই সতর্ক করে দিল সরকার।
1/4যে কোনও ভারতীয় নাগরিক রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছরের কম বয়সি শিশুদের তাদের পিতামাতার কার্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তিরা পৃথক রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। প্রতিটি রাজ্য সরকার এই রেশন কার্ড জারি করে।
2/4রাজ্যের সমস্ত বাসিন্দাদের একটি রেশন কার্ড থাকা উচিত। উত্তরপ্রদেশে খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ বিভাগ এই রেশন কার্ড বিতরণ করে থাকে। রেশন কার্ড ইস্যু করার উদ্দেশ্য হল টার্গেটেড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (TPDS) বাস্তবায়ন করা। এর মাধ্যমে চাল, গম, চিনি, কেরোসিন, সার, এলপিজি ইত্যাদির মতো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলি নাগরিকদের উচ্চ ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করা হয়।
3/4তবে উত্তরপ্রদেশে রেশন কার্ড পেতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি থাকা প্রয়োজন। এই নথিগুলি পরিচয় প্রমাণ হিসাবে জমা দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ভোটার আইডি, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট, পরিবারের সদস্যের পাসপোর্ট সাইজের ছবি বা ব্যাঙ্কের পাসবই।
4/4যদি এগুলোর কোনও পরিচয়ের প্রমাণ না থেকে তাহলে উত্তরপ্রদেশে রেশন কার্ড তৈরি করা যাবে না বা রেশন কার্ডে কোনও সদস্যের নাম যোগ করা হবে না। এমন পরিস্থিতিতে আপনি রেশন নেওয়া থেকেও বঞ্চিত হবেন। যদি কম খরচে রেশনের প্রয়োজন হয়, তাহলে পরিচয় প্রমাণ হিসাবে এই নথিগুলি থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।