নির্দিষ্ট মানের আপেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। 'ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড' এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। তবে সব ধরনের আপেলের আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। তবে ভুটানের থেকে সব মানের আপেলই আমদানি করা যাবে বলে জানিয়েছে ডিজিএফটি।
1/5সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যে সব আপেল আমজানি করতে প্রতি কিলোতে ৫০ টাকার কম খরচ হয়, সেই আপেল বিদেশ থেকে ভারতে আমদানি করা যাবে না। এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছে 'ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড'। দেশে উৎপাদিত আপেলের বাজার যাতে সংকীর্ণ না হয়ে যায় তাই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের।
2/5২০২২ সালে ভারতে ৩৮৫.১ মিলিয়ন ডলারের আপেল আমদানি করা হয়েছিল। এদিকে ২০২৩ সালে এখনও পর্যন্ত আপেল আমদানির পরিমাণ ছুঁয়েছে ২৯৬ মিলিয়ন ডলার। এই আবহে আপেল আমদানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হল। তবে ভুটানের থেকে সব ধরনের আপেলই আমদানি করা যাবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিধিনিষেধ ভুটান ছাড়া বাকি দেশগুলির ওপর প্রযোজ্য হবে।
3/5যেসব দেশ থেকে ভারতে প্রধানত আপেল আমদানি করা হয়, সেগুলি হল - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, ব্রাজিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আফগানিস্তান, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, চিলি, ইতালি, তুরস্ক, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পোল্যান্ড।
4/5২০২২-২৩ অর্থবর্ষের এপ্রিল থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আপেল আমদানির পরিমাণ ৮৪.৮ শতাংশ বেড়ে ১৮.৫৩ মিলিয়ন ডলার হয়ে গিয়েছে। এদিকে একই সময়কালে পোল্যান্ড থেকে ভারতে আপেল আমদানির পরিমাণ ৮৩.৩৬ শতাংশ বেড়ে ১৫.৩৯ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।
5/5তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফ্রান্স ও আফগানিস্তানের মতো দেশগুলো থেকে আপেল আমদানির পরিমাণ কমেছে। তবে সার্বিক ভাবে আপেল আমদানির পরিমাণ বিগত দিনে বেড়েছে। তাই দেশের আপেল উৎপাদনকারীদের সেভাবে লাভ হচ্ছিল না। এই আবহে দেশের কৃষকদের সুবিধার্থে বিদেশি আপেল আমদানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হল সরকারের তরফে।