ব্রিটিশ গণতন্ত্রের ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ঋষি সুনক। বিগত ২০০ বছরের ইতিহাসে ঋষি সব থেকে কম বয়সি প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ব্রিটেনের। তিনি প্রথম প্রধআনমন্ত্রী হবেন, যাকে রাজা তৃতীয় চার্লস শপথবাক্য পাঠ করাবেন। তিনি প্রথম ব্রিটিশ সাংসদ যিনি গীতা হাতে শপথবাক্য পাঠ করেছিলেন। এই এত ইতিহাসের মাঝেও ঋষিকে ঘিরে রয়েছে বহু বিতর্ক।
1/4 ‘খেটে খাওয়া কোনও মানুষ আমার বন্ধু নয়’, এই মন্তব্যের জেরে বিতর্কে জড়িয়েছেন ঋষি সুনক। উল্লেখ্য, বরিস জনসন পদত্যাগ করার পর কনজার্ভেটিভ পার্টির পরবর্তী নেতা বাছাই পর্ব চালকালীন ঋষির বহু বছর পুরোনো একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই ভিডিয়োতেই ঋষিকে নিজের বন্ধুদের নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল। এই নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। ঋষিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমার বন্ধুরা অভিজাত, উচ্চ-শ্রেণীর। শ্রমজীবী কোনও বন্ধু আমার নেই।’
2/4 এদিকে ঋষি সুনকের স্ত্রী হলেন ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতা মূর্তি। ইনফোসিসের শেয়ারের মালিক অক্ষতা বেশ ধনী। তবে তিনি ব্রিটিশ নাগরিক না হওয়ার জেরে সেখানে আয়কর দেন না। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চরম বিতর্ক শুরু হয়েছিল সেদেশে। পরে অবশ্য অক্ষতা নিজের ‘অনাবাসিক’ স্টেটাস বদল করে ব্রিটেনে কর দেওয়ার ঘোষণা করেন।
3/4 এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ব্রিটেনের চ্যান্সেলার থাকাকালীন ঋষি সুনক সব সংস্থার কাছে আবেদন করেছিলেন যাতে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়। তবে এই সময়কালেই তাঁর স্ত্রীর সংস্থা ইনফোসিস রাশিয়ায় তাদের ব্যবসা জারি রেখেছিল। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে সনালোচিত হয়েছিলেন ঋষি এবং তাঁর স্ত্রী।
4/4 ব্রিটেনে রুটির দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে তৎকালীন চ্যান্সেলর ঋষি সুনককে বিবিসির তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কী ধরনের রুটি খান। জবাবে ঋষি জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে সবাই আলাদা আলাদা ধরনের রুটি খান। এই নিয়ে তৎকালীন শ্যাডো খাদ্য সচিব কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘যদি নিজের পরিবারের জন্য রুটি কিনতে চ্যান্সেলরকে কষ্ট করতে হত তাহলে হয়ত তিনি সাধারণ মানুষের কথা ভাবতেন।’ ঋষিকে ‘কনটিনেন্টাল ব্রেকফাস্ট চ্যান্সেলর’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল সেই সময়।