একটু অসতর্ক হলেই বেগতিক! আর্থিক প্রতারণার জাল বিছিয়ে রাখা প্রতারকরা সেই সুযোগেই লক্ষ লক্ষ টাকা হাপিশ করে দিচ্ছে। এদিকে, আর্থিক প্রতারণা ঠেকাতে কেন্দ্র হল তৎপর। কেন্দ্রের তরফে ১.৪০ লাখ মোবাইল নম্বর সদ্য ব্লক করা হয়েছে। এছাড়াও ৩.৮ লাখ সিম কার্ড ব্লক করা হয়েছে। এক অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়েছে।
2/6 সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রীয় আর্থিক পরিষেবা সচিব বিবেক যোশী সদ্য একটি বৈঠকে বসেন। সেখান উঠে আসে ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালের কথা। যেখানে ব্যাঙ্ক, পুলিশ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি একযোগে কাজ করবে, যাতে আর্থিক প্রতারণা রোখা যায়। বলা হয়েছেস আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাঙ্ক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে চেনা ১০ সংখ্যার ফোন নম্বর ব্যবহার করা থেকে আসতে আসতে সরতে হবে। সেই জায়গায় ১৪০ দিয়ে শুরু নম্বরে যেতে হবে।
3/6 সরকারি বিজ্ঞপ্তিতিতে বলা হয়েছে, ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন দেখেছে অন্তত ৩৫ লাখ ‘বাল্ক এসএমএস’ পাঠায়। তারমধ্যে ১৯ লাখ ৭৭৬ হাজার এমন "প্রিন্সিপাল এনটিটি' রয়েছে যা শুধু অসাধু উদ্দেশে তা পাঠায়। এদের চিহ্নিত করে কালো তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫০০ জনকে। উল্লেখ্য, এই প্রিন্সিপাল এনটিটি হল এমন কোনও মূল নির্যাস, যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে থাকে।
4/6 যে ১.৪০ লাখ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্লক হয়েছে , তা হয় সংযোগহীন মোবাইল নেট ব্যবহার হচ্ছে, নয়তো আর্থিক প্রতারণা বা সাইবার ক্রাইমে ব্যবহার হয়েছে। এছাড়াও ৫০ হাজার আইএমইআই ব্লক হয়েছে। ব্লক হয়েছে ৫৯২ টি ফেক লিঙ্ক, ২০১৯ টি ইউঈরএল এই প্রতারণা সূত্রে ব্লক হয়েছে। আর তা হয়েছে গত ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে।
5/6 বিষয়টি নিয়ে সাবধান হওয়ার কথা বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, কেওয়াইসির নাম করে মোবাইলে নানান সময় ফোন আসে। চাওয়া হয় ব্যাঙ্কের বিস্তারিত। এই প্রতারণার ফাঁদ থেকে বাঁচতে বেশ কিছু উপায় জানাচ্ছে আরবিআই। বলা হচ্ছে, কেওয়াইসি আপটেড নিয়ে কিছু জানাতে হলে সরাসরি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। নিজের লগ ইন পাসওয়ার্ড কাউকে দেবেন না। কোনও সন্দেহ হলেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
6/6 বেশ কিছু ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, অনলাইনে পুরনো খাট বিছানা বিক্রি করতে গিয়ে অনলাইনে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রেও প্রতারকরা জাল বিছিয়ে রাখছে। যে প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে, তাতে প্রথমে কিছু টাকা ইউপিআই দিয়ে দেওয়া নেওয়া করে বলা হচ্ছে, এতে সহজে লেনদেন করা যাচ্ছে না, তাই একটি লিঙ্ক নিজের শিকারকে দিয়ে দিচ্ছে প্রতারক। তারপর সেই লিঙ্কের প্রেক্ষিতে ওটিপি চাওয়া হচ্ছে। ওটিপি দিতেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে হাপিশ হচ্ছে বহু টাকা। বেঙ্গালুরুতে কয়েক মাস আগের এই ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্য ফেলেছিল। ফলে সতর্কতা জরুরি।