জোর কদমে চলছে রামমন্দির নির্মাণের কাজ। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেই উদ্বোধন হওয়ার কথা অযোধ্যার এই মন্দিরের। আর তার পরই নাকি ফের একবার গোধরার মতো ঘটনাঘটতে পারে ভারতে। সম্প্রতি এমনই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খাড়া করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এদিকে এই নিয়ে পালটা তোপ দেগেছে বিজেপি।
1/6 বিজেপির রাজনৈতিক উত্থানের অন্যতম কারণ ছিল রামমন্দির। ১৯৯০-এর দশকে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই ধীরে ধীরে দেশে নিজেদের বিস্তার ঘটিয়েছিল গেরুয়া শিবির। আর রামমন্দিরকে কেন্দ্র করেই ২০০২ সালে দাঙ্গা বেধেছিল গুজরাটে। গোধরায় করসেবকদের ট্রেনের কামরায় পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল। তারপর গোটা গুজরাটেই দাঙ্গা ছড়িয়েছিল। এদিকে আর কয়েক মাসেই তৈরি হয়ে যাবে সেই রামমন্দির। আর তারপর ফের নাকি গোধরার মতো ঘটনা ঘটতে পারে দেশে। এমনই দাবি উদ্ধব ঠাকরের।
2/6 আর কয়েক মাস পরই লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দেশে। আর সেই নির্বাচনের আগে জানুয়ারি মাসে উদ্বোধন হতে চলেছে রামমন্দিরের। সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর এই রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে। আর সেই রামমন্দির উদ্বোধনকে ঘিরেই এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
3/6 জলগাওঁতে একটি অনুষ্ঠানে উদ্ধব ঠাকরে বলেছিলেন, 'রামমন্দিরের উদ্বোধনের সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার হিন্দুদের অযোধ্যায় ডাকা হতে পারে। আর তারপর আক্রমণ হতে পারে তদের ওপর। তারা যখন ফিরে যাবে, তখন গোধরার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। কোথাও হয়ত বাস জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। কোথাও পাথর ছোড়া হবে। দেশে আবার আগুন জ্বলবে। আর সেই আগুনে নিজেদের রাজনৈতিক রুটি শেকবে বিজেপি।'
4/6 উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাবরমতী এক্সপ্রেসের একটি কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল গুজরাটের গোধরায়। সেই ঘটনায় অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল। আর সেই দাঙ্গায় অভিযুক্ত মাত্র ৩১ জনকে সাজা শোনানো হয়েছিল ঘটনার ৯ বছর পর।
5/6 প্রসঙ্গত, অযোধ্যার যে জমিতে এককালে বাবরি মসজিদ দাঁড়িয়ে ছিল, সেখানেই তৈরি হচ্ছে রামমন্দির। ২০১৯ সালে এক ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে সেই জমির ওপর হিন্দুপক্ষের দাবি মেনে নিয়ে রায় ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০২০ সালের ৫ অগস্ট সেই স্থানে রামমন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে সেই রামমন্দিরকেই রাজনৈতিক কারণে ইস্যু করা হতে পারে বলে মত উদ্ধবের।
6/6 এদিকে উদ্ধব ঠাকরের এহেন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাঁর মন্তব্যের কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। রবিশঙ্কর এই প্রসঙ্গে বলেন, 'কার আশীর্বাদে উদ্ধব নেতা হয়েছেন? এই রাম জন্মভূমি আন্দোলনে তো বালাসাহেবও যুক্ত ছিলেন। ভোটের জন্য যে কোনও পর্যায়ে নামতে পারে মোদী বিরোধী এই জোট। আমি চাই শ্রীরাম বিরোধীদের সুবুদ্ধি দিক।' এদিকে অনুরাগের অভিযোগ, উদয়নিধির 'সনাতন ধর্ম' নিয়ে মন্তব্য থেকে নজর ঘোরাতেই এই দাবি করেছেন উদ্ধব।